কালীগঞ্জে যুবদল নেতার বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ৫:৩০ অপরাহ্ণ /
কালীগঞ্জে যুবদল নেতার বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে যুবদল নেতার বাড়ি হতে মাদক উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গতরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের চাপারতল এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম লিটুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বসতবাড়ি হতে এ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম লিটু (৪৭) অত্র এলাকার মৃত আজিজুল হকের পুত্র এবং কাকিনা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে যে, গোপন সংবাদ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম লিটুর বাড়িতে কালীগঞ্জ থানার টহল পুলিশের একটি টিম অভিযান চালাতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী তার বসতবাড়ির গোয়ালঘর ও রান্না ঘরের মাঝখান দিয়ে অন্ধকারে পালিয়ে যায়। পরে শপিং ব্যাগ রেখে পালিয়ে যাওয়া ১১ বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে আজ ১ লা ফেব্রুয়ারী কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার মামলা নং ০১।

অপরদিকে পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর আলম লিটু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে মিথ্যা ও হয়রানী মামলার শিকার দাবী করে বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম লিটু বলেন, আমি একজন কৃষক। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিছুদিন আগে কাকিনা চাপারতল এলাকার প্রতিবেশী মৃত নুরুল ইসলাম সেনাপতির ছেলে সুহান-উল-হাবিবের কিছু জমি আমি ক্রয় করি। কিন্তু তার ছোট ভাই সাফিউল হাবিব মুন্না এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর নানা রকমের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন বলে দাবি করেন তিনি। এর জেরে গত ১ জানুয়ারি একজন চরিত্রহীন নারীকে দিয়ে আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং আমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আমি জামিনে মুক্ত হয়ে আসি। কেউ তাকে ফাসাতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে সাফিউল হাবিঞ্জ মুন্না বলেন, আমার ভাই তার কাছে জমি বিক্রি করেছে এতে আমার ক্ষিপ্ত হওয়ার কি আছে। আমি তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি।

এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল বলেন, আমি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক দমনে আমি সব ধরনের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।এবং বিগত কয়েক মাসের মধ্য আমি ৯বার এ থানার ওসি হিসাবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি। তিনি আরোও বলেন এ উপজেলায় মাদক থাকলে আমি থাকবো না, আর আমি থাকলে কোন মাদক থাকবে না। গোপন সংবাদের ভিত্তি তল্লাশি চালিয়ে আসামীর বাড়িতে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামী পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয় লোকজনের মতে, চাপারতল এলাকায় বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসায় তৎপর বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে কান্চনশ্বর এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী মজিবর ও সালাম। হরবানীনগর এলাকায় কামরুজ্জামান রাজু, মহিশামুরি চারমাথা এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী মজিবর সহ নতুন নতুন কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। মাদকের এ বিস্তাররোধ কল্পে কালীগঞ্জ থানার পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।