ঢাকা সহ মহানগর অঞ্চলগুলোতেই প্রার্থীদের অদল বদল বেশি ঘটেছে। মফস্বল এলাকায় প্রার্থীর অদল বদল অনেকটাই কম বলেই জানা গেছে। ঢাকা মহানগরীর মাত্র ৩ টি আসনে আগের প্রার্থীদেরকেই বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি সবগুলোতেই প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অনেকের আসন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে শরিকদের যে আসন গুলো দেওয়া হয়েছে সেই আসন গুলোর মধ্যেও অনেক জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন- ঢাকার আসনে মহাজোটের জাতীয় পার্টিদের যে আসনগুলো আছে তার মধ্যে অন্তত একটি আসন এবার বাদ যাবে। সেই আসনে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রীয় নেতা একসময় ঢাকার এক অংশের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিভিন্ন স্থানে যারা জনপ্রিয় তাদেরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্তত ১৭ জন্য আছেন যদি শেষ পর্যন্ত এই মনোনয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি চূড়ান্ত করেন তাহলে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এ ছাড়াও গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন কিন্তু এবার মনোনয়ন পাননি এমন সংখ্যাও ২৫ জনের বেশি। তবে সার্বিকভাবে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তাকে বিবেচনা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় তিনি কতটুকু জনপ্রিয় এবং তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু সেটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মোট ৬ টি জরিপের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সবগুলো জরিপে যাদের নাম প্রথম এসেছে তাদের সংখ্যা ৯৩ জন। আর বাকিদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন জরিপের সামষ্টিক তথ্য উপাত্ত এক করে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই নির্ধারণের বিষয় থেকে শেষ পর্যন্ত এই তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। আবার যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করে তাহলে শেখ হাসিনা এই তালিকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বাংলা ইনসিডর।
আপনার মতামত লিখুন :