কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩, ৩:৪১ পূর্বাহ্ণ /
০

মোঃ রতন মিয়া, রংপুর প্রতিনিধি –
সময়-কালের বিবর্তনে সারা দেশের ন্যায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার রক্তলাল শোভা বর্ধনকারী শিমুল গাছ।
মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও গল্প। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিমুলের লাল দেখে লিখেছিলেন, -‘শিমুলের কুঁড়ি/এক রাত্রে বর্ণবহ্নি জ্বলিল সমস্ত বনজুড়ি। ‘ ইংরেজিতে সিল্ক কটন নামে পরিচিত শিমুলের বৈজ্ঞানিক নাম বোমবাক্সসিইবা। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে বাংলাদেশে শিমুল এসেছে।
বর্তমান প্রজন্মের অনেক শিশু’ই চেনেনা শিমুল ফুল।গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতো। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
তাছাড়া ও শিমুল গাছের তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতো কৃষক। এ ছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামাঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে ব্যাপকভাবে সুপরিচিত। কিন্তু উপকারী এই গাছটি বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এলাকাবাসীর সঙ্গে গণকণ্ঠের সাক্ষাৎকালে তারা বলে, প্রায় ১০/১৫ বছর আগেও পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে বাড়ির আনাচে-কানাচে চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহই জানান, দিত প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো।
উপজেলার বড় আলমপুর ইউপি’র ৬০ বছর বয়সী মকবুলের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় দেশি তুলা খুজে পাওয়া যায় না।প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
Post Views: ৬০
আপনার মতামত লিখুন :