ধাগার বন্ধন


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : আগস্ট ৩০, ২০২৩, ১০:৩৬ অপরাহ্ণ /
ধাগার বন্ধন
ধাগার বন্ধন
 সঞ্জয় হরিজন
শাস্ত্র বলে ধাগার বন্ধন কেটে ফেলে অশুভ ছায়া-
বহিন যে আমার ভীষণ দূরে কাটাবো কীভাবে তাঁর মায়া?
তাই বলে কি অশুভ ছায়া ছাড়বে না আমার পিছু,
জ্যেষ্ঠা ভগিনী মোর মাতৃতুল্য-
তারি প্রতি মোর অঢেল আখ্যান,
শোনাতে চাচ্ছি কিছু।
ছোট থেকেই দু’জনা বেড়ে হয়ে ওঠা, খুনসুটি হয়েছে বহু,
কত যন্ত্রনা দিয়াছি তবু ছিন্ন হয়নি কভু।
আজিকার দিনে প্রভাত হতে মোর মন হয়েছে ভার ;
মন ভারের পিছনের রহস্য কি তবে- ধাগার অলংকার?
ধাগার অলংকার-ই যদি হয়ে থাকে আমার মন খারাপের দিক,
দিদি কেন আসছে নাহ? ধাগা কি তবে আনবে নাহ?
প্রেমময় মন তারি জন্যে আমার ছুটছে দিগ্বিদিক।
আশার প্রদীপ হাতে জ্বেলে নিয়ে বসে আছি তারি পানে চেয়ে-
কবে আসছো গো তুমি? কবে আসছো?
তিথির শিখা বুজে গেলে তবে, আসবে কি পদ্মা-বুড়িগঙ্গা ধেয়ে।
কথিত রয়েছে পৌরাণিক মাহাত্ম্যে-
গোপাল-দ্রৌপদীর অমীয় বন্ধন,
আজিকার দিন দেয় নি গো ধাগা, দিয়াছে শুধু ক্রন্দন আর ক্রন্দন।
এই ক্রন্দন চোখে থাকিতো না গো কভু, পাশে থাকিতো যদি সহোদরা-
এই অব্দের নির্মল ধাগার বন্ধন আমার রয়ে গেলো যেনো আধুরা।
আজিকার দিনে বোন ধাগা পরাচ্ছে, আশীর্বাদও দিচ্ছে তাঁরা-
পথের দূরত্ব মেলা দূর বলে- কাম হয়েছে আমার সাড়া।
কেনো যেনো আজ পাচ্ছে খুবই বোবার ক্রন্দন,
পথের দূরত্ব, দূরত্ব নয় বোকা
চিরজীবী হোক আজকের এই ধাগার বন্ধন।
সঞ্জয় হরিজন
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com