বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, সাকিব আল হাসান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ঢাকার যেকোন একটি আসন থেকে অথবা মাগুরায় পিতৃ ভূমি থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাকে নির্বাচনের মাঠে নামালে ক্রিকেটের কি হবে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিধায় রয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হ্যা না কিছুই বলেননি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য যে, এখন এশিয়া কাপ চলছে। এশিয়া কাপের যাচ্ছেতাই ফারফরমেন্স সাকিব আল হাসানের। খেলায় মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে তার মনোযোগের জন্যই কি ক্রিকেটের এই হতশ্রী অবস্থা?
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মাত্র একটি খেলায় জিতেছে, তাও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। আর বাকি দুটি খেলাতেও সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠতে পারেননি। দলকেও অগোছালো মনে হচ্ছে। দলের বিভিন্ন ক্রিকেট বোদ্ধারা মনে করছেন, ক্রিকেটে মনোযোগ নেই সাকিব আল হাসানের। এই খেলার মাঝপথে তিনি মুশফিকুর রহিমের সাথে ঢাকায় চলে এসেছেন।
গতকাল তিনি জাতীয় সংসদে গিয়েছিলেন। সেসময় তিনি কিছুক্ষণ সময় কাটান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে। এরপর পাপন সংসদে ঢুকে গেলে সাকিব সংসদ নেতার অফিসে অপেক্ষা করেন। ৭টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সংসদে প্রবেশ করলে তিনি তার সাথে দেখা করেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, সাকিব আল হাসান তার একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট পাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। ঢাকার দুটি আসনে তার আগ্রহ রয়েছে। এছাড়াও মাগুরার আসনেও তার ক্ষতি নেই এমন বার্তা একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছে সাকিব আল হাসান দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ঢাকার ধানমণ্ডি এবং গুলশান আসনে নির্বাচনের প্রার্থী হতে আগ্রহী সাকিব। তা না হলে মাগুরার তার নিজ আসনে তিনি প্রার্থী হতে চান। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তাজা নড়াইল থেকে গতবার এমপি হয়েছেন। এখন সাকিবও কি সেই পথে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :