ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়িতে নদীগর্ভে বিলীন স্কুল, নতুন ভবনে স্থানান্তরের দাবি এলাকাবাসির

হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়িতে নদীগর্ভে বিলীন স্কুল, নতুন ভবনে স্থানান্তরের দাবি এলাকাবাসির

লালমনিরহাট প্রতিনিধি-

লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অবস্থিত ডাউয়াবাড়ি আলহাজ আছের মামুদ সরকার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি গত ২০২২ সালে  তিস্তা নদীর ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারমান ও স্থানীয়দের উদ্যোগে এবং এলাকাবাসির সহযোগিতায় বিদ্যালয়টির জন্য কাছাকাছি নতুন স্থানে বিদ্যালয়টি নতুন করে  নির্মাণ করা হলেও সে স্থানে এখনও বিদ্যালয়ের পাঠদন শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও পাঠদান যেন বিঘ্নিত না হয় সে কারণে স্থানীয় এলাকাবাসী নতুন স্থানের স্কুলটি স্থানান্তরের জন্য হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাবি জানিয়েছেন।

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নতুন নির্মিত বিদ্যালয়ে স্থানান্তর না করে দূরে অন্য এলাকায় বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসি, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিসহ দাতা সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোপের  সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসির দাবি— নতুন বিদ্যালয়টি নিরাপদ, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত উপযোগী এবং চরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষালাভের একমাত্র কেন্দ্র। অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হলে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দেবে। ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়বে।

স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত বিদ্যালয়টি নতুন স্থানে স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেবে যাতে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আবারও ক্লাসে ফিরতে পারে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুলটি আমি সরার কে। আমি চেস্টা করছি। কোন দাতা সদস্যদের কারো সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাই তিনি কোন শুধু উত্তর দিতে পারেননি।

প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি জাল সনদে চাকরি করছেন। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে আট/দশ বছর সহকারী শিক্ষকের বেতন উত্তোলন করেছেন। স্কুলটি বিলিন হওয়ার কারনে প্রধান শিক্ষক চক্রান্ত করে তিনি তার বাড়ির পাশে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। কারন চর এলাকায় স্কুলটি অবস্থিত হওয়ার কারণে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মাসে একদিন স্কুলে আসেন। অন্যান্য শিক্ষক রাও নিয়মিত স্কুলে আসেন না হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তেমন হচ্ছে না।

দাতা পরিবারের নাতি নুরুল আলম হবু জানান, আমার মরহুম দাদা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করলেও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কখনো দাতা পরিবারের লোকজনের সহিত যোগাযোগ রাখেন না। স্কুলটি সঠিক ভাবে পরিচালনা না করে মাসে ২/৪ দিন বিদ্যালয় উপস্থিত হয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করা যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টির অনিয়ম দুর্নীতিগুলো কর্তৃপক্ষের নজরে তুলে ধরা উচিত।

দাতা পরিবারের আরেকজন সদস্য বেলাল হোসেন জানান, আমি চলাঞ্চলে বসবাস করি। খোঁজখবর নিজের ইচ্ছাই নেই। কিন্তু দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কখনো দাতা পরিবারের সদস্যদের খবর রাখেন না। খেয়াল খুশি মতো স্কুলটি পরিচালনা করেন। তিনি আরো বলেন স্কুলটির চর অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারনে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে না আসেন না।  অথচ তারা নিয়মিত  বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, দ্রুত সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

ট্যাক

হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়িতে নদীগর্ভে বিলীন স্কুল, নতুন ভবনে স্থানান্তরের দাবি এলাকাবাসির

আপডেট সময় ০৬:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি-

লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অবস্থিত ডাউয়াবাড়ি আলহাজ আছের মামুদ সরকার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি গত ২০২২ সালে  তিস্তা নদীর ভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারমান ও স্থানীয়দের উদ্যোগে এবং এলাকাবাসির সহযোগিতায় বিদ্যালয়টির জন্য কাছাকাছি নতুন স্থানে বিদ্যালয়টি নতুন করে  নির্মাণ করা হলেও সে স্থানে এখনও বিদ্যালয়ের পাঠদন শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও পাঠদান যেন বিঘ্নিত না হয় সে কারণে স্থানীয় এলাকাবাসী নতুন স্থানের স্কুলটি স্থানান্তরের জন্য হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাবি জানিয়েছেন।

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নতুন নির্মিত বিদ্যালয়ে স্থানান্তর না করে দূরে অন্য এলাকায় বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসি, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিসহ দাতা সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোপের  সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসির দাবি— নতুন বিদ্যালয়টি নিরাপদ, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত উপযোগী এবং চরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষালাভের একমাত্র কেন্দ্র। অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হলে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দেবে। ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়বে।

স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত বিদ্যালয়টি নতুন স্থানে স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেবে যাতে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আবারও ক্লাসে ফিরতে পারে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুলটি আমি সরার কে। আমি চেস্টা করছি। কোন দাতা সদস্যদের কারো সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাই তিনি কোন শুধু উত্তর দিতে পারেননি।

প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি জাল সনদে চাকরি করছেন। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে আট/দশ বছর সহকারী শিক্ষকের বেতন উত্তোলন করেছেন। স্কুলটি বিলিন হওয়ার কারনে প্রধান শিক্ষক চক্রান্ত করে তিনি তার বাড়ির পাশে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। কারন চর এলাকায় স্কুলটি অবস্থিত হওয়ার কারণে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মাসে একদিন স্কুলে আসেন। অন্যান্য শিক্ষক রাও নিয়মিত স্কুলে আসেন না হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া তেমন হচ্ছে না।

দাতা পরিবারের নাতি নুরুল আলম হবু জানান, আমার মরহুম দাদা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করলেও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কখনো দাতা পরিবারের লোকজনের সহিত যোগাযোগ রাখেন না। স্কুলটি সঠিক ভাবে পরিচালনা না করে মাসে ২/৪ দিন বিদ্যালয় উপস্থিত হয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করা যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টির অনিয়ম দুর্নীতিগুলো কর্তৃপক্ষের নজরে তুলে ধরা উচিত।

দাতা পরিবারের আরেকজন সদস্য বেলাল হোসেন জানান, আমি চলাঞ্চলে বসবাস করি। খোঁজখবর নিজের ইচ্ছাই নেই। কিন্তু দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম কখনো দাতা পরিবারের সদস্যদের খবর রাখেন না। খেয়াল খুশি মতো স্কুলটি পরিচালনা করেন। তিনি আরো বলেন স্কুলটির চর অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারনে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে না আসেন না।  অথচ তারা নিয়মিত  বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, দ্রুত সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।