মাসুম মটরসে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট – থানায় এজহার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : মার্চ ২৩, ২০২৩, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ /
মাসুম মটরসে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট – থানায় এজহার

মোঃময়েন উদ্দিন তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ

সৈয়দপুরে মাসুম মটরস শোরুমে জঙ্গি স্টাইলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অর্থ লুটপাট ও অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ১১.৩০ মিনিটে সৈয়দপুরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত মাসুম মটরস এর ইয়ামাহ মোটরসাইকেল শোরুমে এক দল চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায় । প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে।

এযাহার সুত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর চামড়া গুদাম এলাকার বিহারি ক্যাম্পের জাবেদের ছেলে জনি (২৬), আজগর আলির ছেলে শাহনেওয়াজ (২৮), খালিদের ছেলে আহাদ, শাহীন (২৫), বাবলা (২৬), মিঠুন (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ইয়ামাহ মোটরসাইকেলের ওই শোরুমে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। থাই গ্লাস, শোরুমের স্যাটার, সিসি ক্যামেরা সহ বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। এরপর দুটি মোটরসাইকেলের বিক্রিত ৫ লক্ষ টাকা লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। শোরুমে কর্মরত ব্যক্তিরা মাথায়, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হলে সৈয়দপুর ১০০ সজ্জা বিশিষ্ট হাসপাতালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণ করে।

মাসুম মটরসের ম্যানেজার সাজ্জাদুল ইসলাম সজল জানান, আমাকে বেধড়ক মারধর করে জনি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা । আমাদের স্টাফ রনির মাথায় আঘাত ও হাত ফ্রাকচার করে ফেলে শাহনেওয়াজ ও তাদের অন্যান্য সঙ্গীরা । মোটরসাইকেল বিক্রি করা ৫ লাখ নগদ টাকা আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে ক্যাশ থেকে বের করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় আশেপাশের লোকজন ছুটে না আসলে আজকে আমাদের প্রানেই মেরে ফেলত সন্ত্রাসিরা।

গোপনে ধারনকৃত কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জনি বাহিনীর অন্তত ৩৫-৪০ জন সদস্য বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাসুম মটরস শোরুমে ও স্টাফদের আঘাত করছে।

মাসুম মটরস স্বত্বাধিকারী মাসুম আহমেদ জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। সৈয়দপুরের ব্যবসায়ী মহল সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বিষয়টি নিয়ে। প্রশাসনের উপর আস্থা রয়েছে, দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে সেটাই আশা করছি।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনাস্থল তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com