সন্দ্বীপে এক মাসে কমপক্ষে ৬০টি দোকান ও বাসা-বাড়িতে চুরি


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ১:৩৫ অপরাহ্ণ /
সন্দ্বীপে এক মাসে কমপক্ষে ৬০টি দোকান ও বাসা-বাড়িতে চুরি

সাব্বির রহমান- (চট্রগ্রাম) সন্দ্বীপ

সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এলাকায় সম্প্রতি চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চুরি ঠেকাতে কোনো কোনো এলাকায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীরা জানান, গত এক মাসে সন্দ্বীপ উপজেলায় কমপক্ষে ৬০টি দোকান ও বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ চুরিই রাতের বেলায় হয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ মাদকাসক্ত কয়েকটি চক্র এসব চুরির সঙ্গে জড়িত।

২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া ইউনিয়নের বাণির-হাঁট বাজারে একই রাতে ১৮ টি দোকান ও একটি হোন্ডা চুরি হয়। এরকিছু দিন আগেও সন্দ্বীপ শিবের হাঁট বাজারে ৩৫ টি দোকান চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সন্দ্বীপে চুরির ঘটনা বাড়লেও এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, অধিকাংশ চোর চক্রটি মাদকাসক্ত মাদকের টাকা জোগাড় করতে তারা চোরি করে। চোরেরা আগে থেকেই একটা গ্রামে কয়েকটি বাড়ি নির্দিষ্ট করে বসবাসকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। রাতের বেলায় যখন বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে যান, তখন সুযোগ বুঝে চোরেরা হানা দেয়। প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটলেও ঝামেলা পোহানোর ভয়ে কেউ পুলিশকে বিষয়টি জানান না। সংঘবদ্ধ মাদককারবারী কয়েকটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। চুরি ঠেকাতে পুলিশি টহল আরও বাড়ানো উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।

চুরি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সভায় সব বাজার সিসিটিভি মনিটরিংয়ের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব বাজারে বাধ্যতামূলকভাবে সিসিটিভি মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদেরও আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

সন্দ্বীপের সচেতন মহলের অনেকেই জানান, মাদকের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা। প্রতি রাতেই চুরি হচ্ছে কোন না কোন এলাকায় দোকান এবং বিভিন্ন বাসাবাড়ি। মাদকসেবীরা টাকা জোগাড় করতে এসব চুরি করছে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com