আটোয়ারীতে প্রকাশ্যে ১৪ লাখ টাকা যৌতুক গ্রহণ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ৯:০০ অপরাহ্ণ /
আটোয়ারীতে প্রকাশ্যে ১৪ লাখ টাকা যৌতুক গ্রহণ

আটোয়ারী(পঞ্চগড়)প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের চামেশ্বরী ত্রিশুলিয়া এলাকার জগন্নাথ মন্দিরে ৩০ জানুয়ারী (সোমবার) বিকেলে প্রায় ৩০০ লোকের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ১৪ লাখ টাকার যৌতুক নেন পাত্রপক্ষ ৷মেয়ের বাবার বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নে, তিনি কৃষি কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। মেয়েটি সাকোয়া ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত। এদিকে ছেলে সুমন রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ এলাকায়। তিনি বর্তমানে বিমানবাহিনীতে কর্মরত৷ জানা যায়, গত ৩ বছর আগে এই মেয়েকে বিয়ের কথা বলে সাড়ে ৬ লাখ টাকা যৌতুক নেয় পাত্র । যৌতুক নেওয়ার পর বিয়ে করতে অসম্মতি জানান পাত্র ও পাত্রের বড়ভাই। পরবর্তীতে আপোষের মাধ্যমে আবার এই মেয়েকে বিয়ে করতে লিখিত দেন পাত্র। পরে আবারো টালবাহানা শুরু করে তারা। গত সোমবার পাত্রী তার মামার বাড়ি বলরামপুরে ঘুরতে এলে সেই সুমনও এখানে আসে। পরে তাদের এখানে বিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবাহিনীতে সুমন রায়ের ২০১৭ সালে চাকুরী হয়। মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায় , আগে তারা টাকা দিয়েছিলো সাড়ে ৬ লাখ, আজ দিলো সাড়ে ৭ লাখ ৷ তারা মূলত জমি বিক্রি করে টাকা যোগাড় করেছে৷পাত্রের বড় ভাই বলেন, এখনো তাকে(সুমন) বিয়ের অনুমতি দেয়নি। এর দায়ভার সম্পূর্ণ মেয়ে পক্ষের। জগন্নাত মন্দিরের সভাপতি অতিশ বাবু বলেন, আমাদের এলাকায় তাদের আত্মীয় থাকার সুবাদে তাৎক্ষণিক বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাই আমাদের মন্দিরে বিয়ে দিছি। যৌতুক সম্পর্কে আইনুযায়ী জানা যায়,যদি বিবাহের কোনো এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করেন অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করেন বা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তি করেন, তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কিন্তু অন্যূন ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন। এদিকে সুমন ইসলাম একজন সরকারী চাকরীজীবী হয়েও প্রকাশ্যে যৌতুক নিয়ে কি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাননি ? যদি একজন সরকারী চাকরীজীবী হয়ে আইন অমান্য করে তাহলে সাধারণ মানুষ কি তা করবে না ?

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com