তারাগঞ্জে ব্র্যাক অফিসে গৃহবধূর মৃত্যু


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : জুন ১০, ২০২১, ৩:২০ পূর্বাহ্ণ /
তারাগঞ্জে ব্র্যাক অফিসে গৃহবধূর মৃত্যু
মোঃময়েন উদ্দিন তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে হাফিজা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাফিজা খাতুন বুড়িরহাট শাখা ব্র্যাক কার্যালয়ের পিও নুর আলমের স্ত্রী।
আজ বুধবার সকাল ৯ টায় বুড়িরহাট শাখা ব্র্যাক কার্যালয়ের একটি কক্ষে সকল অফিস স্টাফদের উপস্থিতিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর আলম ও তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন গত ছয় মাস থেকে কুর্শা ইউনিয়নের বস পাড়া গ্রামের জব্বুর আলীর বাসায় ভাড়া থাকতো। প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। গত শুক্রবার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে হাফিজা খাতুন অভিমান করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে স্বামী নুর আলমকে মুঠোফোনে জানালে তিনি তার উপর রাগান্বিত হন। পরে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। সেখানে বাসার জিনিস পত্র না থাকায় তিনি বুধবার সকালে বুড়িরহাট শাখা ব্র্যাক অর্ফিসে যান। ব্র্যাক অফিসের দায়িত্বরত ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম ও সকল স্টাফদের উপস্থিতিতে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। এক পর্যায়ে অফিসের গেষ্টরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে হাফিজা আত্মহত্যা করেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে হুমায়ন সরকার লরেন্স অভিযোগ করে বলেন, নুর আলমের সঙ্গে ওই এলাকার এক মহিলার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যার কারণে হাফিজার সাথে নুর আলমের প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। সেই জন্য হাফিজা অফিস স্টাফের কাছে বিচার দাবি করে না পেয়ে অফিসের সকল স্টাফের উপস্থিতিতে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন।
হাফিজা খাতুনের স্বামী নুর আলম বলেন, আমি অফিসে উপস্থিত ছিলাম না। সে অফিসে এসে স্টাফদের সাথে কথা বলে কিভাবে আত্মহত্যা করেছে আমার জানা নেই। আমার অফিস স্টাফরাই ভালো বলতে পারবেন।
হাফিজা খাতুনের বাবা তৈয়ব আলী অভিযোগ বলেন, বিয়ের পর হতে নানাভাবে আমার মেয়ে হাফিজাকে নির্যাতন করে আসছেন নুর আলম। একটি পুত্র সন্তান জন্মের ৬ বছর পরে মারা যান। সেই সময় হতে আরোও বেশী নির্যাতন শুরু করেন নুর আলম। আমার মেয়ের তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করছি।
বুড়িরহাট শাখা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, হাফিজা অফিসে এসে আমার সাথে স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।  সকালে অফিসে এসেছিল কথা বলেছি তারপর গেষ্ট রুমে কখন গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আমরা কেউ জানিনা। পরে গেষ্ট রুমের দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মদ বলেন, ঘটনাটির খবর পেয়ে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহ্যার ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com