ম্যাজিক জালের ব্যবহারে খানসামায় বিপন্নের মুখে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণি


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ / ০ Views
ম্যাজিক জালের ব্যবহারে খানসামায় বিপন্নের মুখে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণি
মোঃ জসিম উদ্দিন; খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ–


দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী ও জলাশয়ে চায়না ম্যাজিক জাল ও কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহার করায় নিধন হচ্ছে মৎস্য ও জলজ প্রাণী।
প্রতিদিন শিকার হচ্ছে বিভিন্ন মাছ ও জলজ প্রাণী ,ফলে প্রতিনিয়ত মারা পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ডিম‌ওয়ালা মাছ, শোল , শাটি, কৈ, পুঁটি, শিং,মাগুর, টেংরা, চিংড়ি, তেলাপিয়া, রুই ও কাতল মাছের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
এমনকি ব্যাঙ, সাপ,কাকড়া,কুচিয়া,ছোট শামুক সহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীরাও মারা পড়েছে। ফলে হূমকিতে পড়ছে তাদের জীবনচক্র, হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীব-বৈচিত্র্য।
সচেতন স্থানীয়দের অভিযোগ,উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নেই কোন অভিযান। এমন কি ম্যাজিক জালের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান পরিচালনা করেননি। অভিযান না করার কারণে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই অবৈধ জালের ব্যবহার। মৎস্য বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত যথাযথভাবে তদারকি ও অভিযান না চালালে এবং এই চায়না ম্যাজিক জাল বন্ধ না করলে আমাদের এলাকায় মৎস্য ও জলজ সম্পদ সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যাবে। তাই প্রশাসন সহ মৎস্য বিভাগের প্রতি বিশেষ অনুরোধ উপজেলার মধ্যে যেসমস্ত হাট বাজারে এই চায়না ম্যাজিক জাল বিক্রি করে এবং যে সকল জলাশয়ে ম্যাজিক ফাঁদ পাতে সেই সমস্ত স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।
বিশেষ সূত্র মতে জানা গেছে, উপজেলার বেলান নদী ও ইছামতি নদীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে এই নিষিদ্ধ জাল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি এলাকার নাম জানিয়েছে সূত্রটি, সেগুলো হলো উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামের মাদার দরগাহ, জেলে পাড়া, গোয়ালডিহি ইউনিয়নের বটতলী সাকোঁর পাড়, মানিকগন্জ ক্যাম্পের হাটসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নদীতে, জলাশয়ে,খালে,ডোবা জায়গায়,নালার ধারে এই চায়না ম্যাজিক জাল ব্যবহার করে আসছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত ধরা পড়েছে এসব মাছ ও জলজ প্রাণী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমাদের এলাকায় এই জালের ব্যবহারের কারণে মুক্ত জলাশয়ের মাছ শেষের পথে, এখন আর আগের মত মাছ দেখা যায় না। হাতের নাগালেই এই জাল পাওয়া যায় বলে এলাকার শত শত মানুষ সৈয়দপুর থেকে এই জাল উন্মুক্ত ভাবে কিনে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন কুমার বর্মন বলেন, আমরা ম্যাজিক জালের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান চালাচ্ছি এবং অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। ম্যাজিক জাল কোথাও ধরা পড়লে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com