বাল্যকাল থেকে শিশুদের নম্র ভদ্র সভ্য হওয়ার শিক্ষা দিবেন যেভাবে


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ৫:০৪ অপরাহ্ণ /
বাল্যকাল থেকে শিশুদের নম্র ভদ্র সভ্য হওয়ার শিক্ষা দিবেন যেভাবে

আমরা পৃথিবীতে জন্ম লাভ করার পর থেকেই  পিতা-মাতার আদর ভালোবাসা নিয়েই বড় হতে থাকি।  পরিবার যেন আমাদের জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  এই পরিবার থেকে আমরা জীবন চলার পথে সবকিছুর শিক্ষা পেয়ে থাকি। পরিবারে আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হলেন একজন মা।  আমরা সকলেই ছোটবেলা থেকেই নম্র ভদ্র সভ্য হওয়ার শিক্ষা নিয়ে বড় হতে থাকি। একটি শিশুকে ছোটবেলা থেকেই আপনি যে শিক্ষা দিয়ে তাকে বড় করে গড়ে তুলবেন সে শিক্ষার্থী তাদের মনে গেঁথে যায় সেই অনুযায়ী তারা দিনে দিনে বড় হতে থাকে।  নানা পারিপার্শ্বিক কারণে সন্তানের মধ্যে রাগ ক্ষোভ ও কঠোর ব্যবহার দেখা দেয় অনেক সময় সন্তানের এমন ব্যবহার দেখে মা-বাবাও আহত হয়ে থাকেন। সন্তানদের এমন আচরণে বাবা-মা তার সন্তানদেরকে কখনো ভালোবেসে পাশে বসিয়ে বসিয়ে আবার কখনোবা ধমক দিয়ে নম্র-ভদ্র বানানোর চেষ্টা করে থাকেন।

আজকের এই প্রতিবেদনে নিম্নলিখিত উপায়গুলি সন্তানকে বিনম্র করে তোলার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সাহায্য করবে।

##আপনার লক্ষ্য করে দেখবেন যে আপনি যে কাজটি করছেন আপনার ছোট্ট শিশুটিও সে কাজটি করার চেষ্টা করছে।  মানে হচ্ছে ছোট বাচ্চারা আমার অনেক কাজ দেখে সেগুলো  শিশুরা আয়ত্ত করার চেষ্টা করে।  বাবা মা যদি কখনো কারো সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করে থাকেন তাহলে নিজের অজান্তেই শিশুরা সেই ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়তে পারে সর্বপ্রথম অভিভাবকদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনা জরুরি।  প্রথমেই একে অপরের সহিত নম্র আচরণ করতে হবে,  ধৈর্যশীল হতে হবে তাহলে আপনার দেখাদেখি আপনার শিশুটিও আপনার মত করে দিনে দিনে বড় হতে থাকবে।

## আমরা আমাদের প্রত্যাহিক কর্ম জীবনী সকলেই নিজ নিজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।  অন্যকে সাহায্য করার মত সময় আমাদের নেই।  কিন্তু পরিবারের সদস্যরা যদি অন্যদের সাহায্য করার মত আন্তরিক ও মানবিক আচরণ করে থাকেন তাহলে সেটি দিকে ভবিষ্যতে আপনার সন্তানও সেই স্বভাব নিয়ে বড় হবে।

 ## প্রতিটি সন্তান প্রতিটি মানুষের শরীর ভালো ব্যবহার করার শিক্ষা নিজ বাবা-মার কাছ থেকেই নিয়ে থাকেন। বাবা-মা কোনো ভুল করে যদি নিজের দোষ স্বীকার করে নেন অন্যের উপর দোষারোপ করতে  অভ্যস্ত না হন,  মিথ্যা কথা না বলেন  ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে আপনার সন্তানরা এমন স্বভাব নিয়ে অন্যদের  সাথে আচরণ করবে।

 ## অহংকারের মনোভাব বাচ্চাদের মানসিকতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অহংকারের ফলে তাদের মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে। তাই বাচ্চাদের মনে অহংকার জন্মাতে দেবেন না। আবার সন্তানের মনে অহংকার থাকলে তাকে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করতে শেখান। এর ফলে বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে এবং তারা অন্যকে বোঝার চেষ্টা করবে।

 

## মহাপুরুষদের জীবনের অনুপ্রেরণামূলক কাহিনি শুনিয়েও সন্তানের মনে নম্রতার সঞ্চার করতে পারেন। এ ধরনের কাহিনি বাচ্চাদের উৎসাহিত করে এবং তারা সেই মহাপুরুষদের নিজের আদর্শ করে জীবনে এগিয়ে যেতে চাইবে। এর ফলে ধীরে ধীরে বাচ্চাদের মনে পরিবর্তন দেখা দেবে।

 

##নিজের প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে। আপনার সন্তানও নিজের প্রশংসা শুনে গর্ববোধ করে। কিন্তু এর পাশাপাশি অন্যের প্রশংসা করাও জরুরি। এর ফলে আপনার সন্তানের প্রতি সকলের আকর্ষণ বাড়বে। এমনকি সন্তানের মনে বিনম্রতারও সঞ্চার হবে।

 

## বাচ্চাদের মনে বিনম্রতার ধারণা সৃষ্টি করার জন্য পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে বাচ্চাদের একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে এবং ধৈর্য ও বিনম্রতার বিকাশ ঘটবে। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে নিজের সন্তানকেও বাইরে খেলতে যেতে দিন। তাদের মেলামেশার পরিসর বাড়বে এবং তারা মিশুকে হয়ে উঠতে পারবে।

 

## প্রত্যেকটি মা-বাবা সন্তানকে নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানান। বড়দের সম্মান করা, অন্যের সাহায্য করা, দরিদ্র ও অসহায়দের দান করা ইত্যাদি করতে শেখান সন্তানকে। এটি বাচ্চাদের নম্র, ভদ্র ও সভ্য করে গড়ে তুলবে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com