ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
টেকনাফে রাজনীতিকে পুঁজি করে, তালিকা ভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহ আলম এর রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য 

টেকনাফে রাজনীতিকে পুঁজি করে, তালিকা ভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহ আলম এর রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য 

নিজস্ব প্রতিবেদক।
কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফে রাজনীতিকে পুঁজি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও আত্মসমর্পণকারী শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) নামক এক ব্যক্তি ইয়াবা মামলায় জেল থেকে বেরিয়ে আবারো লিপ্ত হয়ে পড়েছেন রমরমা ইয়াবা বাণিজ্যে।
অনুসন্ধানে উঠে আসে তাঁর একটি বিশাল সিন্ডিকেট থাকায়, শাহ আলম তাঁর উক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান এনে টেকনাফ থেকে শুরু করে ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করেন।
তবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করে, তাঁর এই রমরমা মাদক বাণিজ্য নিয়ে স্থানীয় কেউ মুখ খুললে হুমকি ধমকি দেওয়ারও নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁর এমন প্রভাবের প্রথম কারণ টেকনাফের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের, বড় বড় নেতারা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানান, টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার ফলে বর্তমানে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ।
অপর দিকে সেই ২০১৯ সালে টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা ভুক্ত থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান, এবং পরবর্তীতে
জেল থেকে ফিরতে না ফিরতেই আবারো নেমে পড়েন।
এই অবৈধ ইয়াবা ব্যবসায়। তবে প্রকাশ্যে চলছে তাঁর এই রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য, এমনকি দিবালোকে তাঁর বাড়িতে দেখা যাচ্ছে মাদক কারবারিদের আনাগোনা।
তবে স্থানীয়রা আরো জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আঁতাত করে তাঁর স্ত্রীকে টেকনাফ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের (সভানেত্রী) ও টেকনাফ পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের দুইবারের মহিলা কাউন্সিলর বানিয়েছেন, এবং স্ত্রীর ক্ষমতা ও রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন শাহ আলম কিন্তু সম্প্রতি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ
সরকারের পতনের পর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে রাতারাতি টেকনাফ পৌর বিএনপির দুঃসময়ের একজন ত্যাগী নেতা দাবি করে বেড়াচ্ছেন নিজেকে । কালো টাকার বিনিময়ে যে কোন রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতাদের সাথে আঁতাত রেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শাহ আলম।
এদিকে এ বিষয়ে শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) থেকে এসব বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে, তিনি মুঠোফোন কেটে দেন, একাধিক বার যোগাযোগ করার পরেও তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি
২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১০২ জন ইয়াবা কারবারিদের মধ্যে শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) ও আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) বর্তমানে মানুষের সামনে খুবই সাধারণ জীবনযাপন করছেন, প্রকাশ্যে ও আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন, ইয়াবা ব্যবসা। এমনকি তিনি বর্তমান প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে, রয়েছে বলে
জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
ট্যাক

টেকনাফে রাজনীতিকে পুঁজি করে, তালিকা ভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহ আলম এর রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য 

আপডেট সময় ১২:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।
কক্সবাজারের সীমান্ত শহর টেকনাফে রাজনীতিকে পুঁজি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও আত্মসমর্পণকারী শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) নামক এক ব্যক্তি ইয়াবা মামলায় জেল থেকে বেরিয়ে আবারো লিপ্ত হয়ে পড়েছেন রমরমা ইয়াবা বাণিজ্যে।
অনুসন্ধানে উঠে আসে তাঁর একটি বিশাল সিন্ডিকেট থাকায়, শাহ আলম তাঁর উক্ত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান এনে টেকনাফ থেকে শুরু করে ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করেন।
তবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করে, তাঁর এই রমরমা মাদক বাণিজ্য নিয়ে স্থানীয় কেউ মুখ খুললে হুমকি ধমকি দেওয়ারও নানা অভিযোগ রয়েছে। তাঁর এমন প্রভাবের প্রথম কারণ টেকনাফের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের, বড় বড় নেতারা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানান, টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহ আলম তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার ফলে বর্তমানে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ।
অপর দিকে সেই ২০১৯ সালে টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা ভুক্ত থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে জেলে যান, এবং পরবর্তীতে
জেল থেকে ফিরতে না ফিরতেই আবারো নেমে পড়েন।
এই অবৈধ ইয়াবা ব্যবসায়। তবে প্রকাশ্যে চলছে তাঁর এই রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য, এমনকি দিবালোকে তাঁর বাড়িতে দেখা যাচ্ছে মাদক কারবারিদের আনাগোনা।
তবে স্থানীয়রা আরো জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আঁতাত করে তাঁর স্ত্রীকে টেকনাফ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের (সভানেত্রী) ও টেকনাফ পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের দুইবারের মহিলা কাউন্সিলর বানিয়েছেন, এবং স্ত্রীর ক্ষমতা ও রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন শাহ আলম কিন্তু সম্প্রতি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ
সরকারের পতনের পর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে রাতারাতি টেকনাফ পৌর বিএনপির দুঃসময়ের একজন ত্যাগী নেতা দাবি করে বেড়াচ্ছেন নিজেকে । কালো টাকার বিনিময়ে যে কোন রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতাদের সাথে আঁতাত রেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শাহ আলম।
এদিকে এ বিষয়ে শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) থেকে এসব বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে, তিনি মুঠোফোন কেটে দেন, একাধিক বার যোগাযোগ করার পরেও তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি
২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ১০২ জন ইয়াবা কারবারিদের মধ্যে শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) ও আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, শাহ আলম প্রকাশ (দুদু) বর্তমানে মানুষের সামনে খুবই সাধারণ জীবনযাপন করছেন, প্রকাশ্যে ও আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন, ইয়াবা ব্যবসা। এমনকি তিনি বর্তমান প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে, রয়েছে বলে
জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।