এলজিআরডি ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথা জনদুর্ভোগ লাঘবে নিবন্ধন পরিদফতরের কার্যক্রম আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম ম্যানুয়ালি হওয়ায় ভূমি অফিস থেকে ই-নামজারি, ভূমি কর প্রদান ও হোল্ডিং নম্বর পেতে সাধারণ মানুষ অমানবিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সোমবার ভূমি ভবনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি বিষয়ক নীতি নির্ধারণী অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমি সচিব খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মন্ডল ও ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প পরিচালক ইফতেখার হোসেন ও উপ-সচিব সেলিম আহমদ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী জনগণের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে। বিগত সরকারের সময় গণআন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে আমরা জনসেবার সুযোগ পেয়েছি। এজন্য সমাজ পরিবর্তনের মানসে প্রভু নয়, জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমি জরিপ ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের মধ্যে সদা দুঃখ-হতাশা বিরাজ করে। কেননা যখন কোন এলাকায় জরিপ কাজ চলে তখন কারো মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আবার কারো দুঃখের সীমা থাকে না।
তিনি জরিপ কাজটা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করে জনদুর্ভোগ লাঘবের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে সামাজিক মোটিভেশনের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব কর্ম-কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংবাদ মাধ্যমের সহায়ক ভূমিকা কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :