লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের বরাদ্দের কয়েক কোটি টাকার নথি গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড় । প্রশ্ন উঠেছে, গায়েব হওয়া নথিগুলোতে কি কি ধরনের তথ্য ছিল? আর এতে লাভবান হবে কারা কারা ? অফিস চলাকালীন সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এসব বরাদ্দের নথিপত্র গায়েব হয় কীভাবে? প্রশ্ন থেকেই যায়! যোগসাজশ ছাড়া বাইরের কেউ নথিপত্র গায়েব করতে পারে কি? অনেকে বলছেন,বেশ কিছু দুর্নীতির প্রমাণ ঢাকতে গায়েব করে ফেলেছেন এসব নথিপত্র।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এসব নথিপত্র গায়েবের ঘটনায় দীর্ঘ একমাস পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী পারভীন বেগম। যাহার ডায়েরি (জিডি) নম্বর ২২০। এমন একটি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের না করে সাধারণ ডায়েরি করায় রহস্যও দেখা দিয়েছে।
ঘটনার দিনও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও অফিস সহকারী পারভীন বেগম। নথিপত্র গায়েবের পর রংপুরের পীরগঞ্জে আঃ রাজ্জাক এবং পারভিন বেগম লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগদান করেন।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের বরাদ্দ তালিকা, অর্থ বিতরণ/প্রদান তালিকা, নোট, অনুমোদনপত্র, রেজলেশন, গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্রসহ বিভিন্ন নথি সাধারণত সমাজকল্যাণ পরিষদের নথিপত্রের অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র কীভাবে হারিয়ে গেছে, তা জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয় কালীগঞ্জ থেকে সদ্য বদলি হওয়া সমাজসেবা কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ৪ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব হস্তান্তর করে চলে আসার পর অফিস সহকারী পারভিন নথিপত্র গায়েবের ঘটনায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন বলে শুনেছি । নথিপত্র গায়েব হওয়ার দিনে তিনি কালীগঞ্জে সমাজসেবা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দায়িত্বে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, নথিপত্র হারানোর বিষয়টি জানি না তবে ৬ আগষ্টে উপজেলা সমাজসেবা কর্যালয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। কি ঘটেছে সেটা তিনি স্পষ্ট বলেন নি। এ বিষয় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুকান্ত সরকার বলেন, সমাজসেবা কার্যালয় থেকে নথি কীভাবে হারিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে পাঁচ কার্যদিবস সময় দিয়ে বদলিকৃত সমাজসেবা কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক ও অফিস সহকারী পারভীন বেগমকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :