রংপুরের মিঠাপুকুরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে রবি টাওয়ারের দেড়শো ফিট উপরে উঠা যুবককে প্রায় তিনঘণ্টার প্রচেষ্টায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং পুলিশ সদস্যরা। এরপূর্বে হাজার খানিক উৎসুক জনতা ওই যুবককে বুঝিয়ে টাওয়ার থেকে নীচে নামানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হন।
শুক্রবার (২৯-নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় উপজেলার বৈরাগীগন্জ বাসষ্টান্ডে এই ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর আনুমানিক একটার সময় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা তাঁকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীয় স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগন্জ বাসষ্টান্ড সংলগ্ন পূর্ব চূহড় গ্রামের রুস্তম আলীর পুত্র মোঃ বায়জিদ হোসেনের (২১) স্ত্রী কয়েকদিন পূর্বে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। বায়জীদ এতে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এরই জেরধরে, বায়জিদ সকালে নিজ বাড়ি সংলগ্ন রবি টাওয়ারে আত্মহত্যার উদ্দেশ্য দেড়শো ফিট উপরে উঠেন। এসময় স্থানীয়রা সহ তার পরিবারের লোকজন বায়জিদকে টাওয়ারের শীর্ষে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বায়জিদ মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবন করায় টাওয়ারের উপরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলেন।
বায়জিদ যখন তার সিন্ধান্ত থেকে সরে আসছিলেন না, তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ এবং মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বায়জিদ মানুষিক বিকারগ্রস্ত এবং মাদকাসক্ত। এ কারনেই সে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবন করে আত্মহত্যা করার জন্য টাওয়ারে উঠেছিল। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যথাসময়ে না আসলে ছেলেটার মৃত্যু নিশ্চিত ছিলো। কারন বায়জিদের মানুষিক সমস্যা আছে। পাশাপাশি টাওয়ার থেকে নামার মতো অবস্থায় সে ছিলোনা।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান জানান, রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক- বাদশা মাসুদ আলম স্যারের তত্বাবধানে এবং তার দিক নির্দেশনায়, দীর্ঘ তিনঘণ্টার প্রচেষ্টায় ওই যুবককে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তিনি বলেন,পুরা ঘটনার সময় আমরা আতঙ্কিত ছিলাম।
আপনার মতামত লিখুন :