গ্লোবাল অ্যালাইন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন ও বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ থেকে দশ টাকায় পুষ্টিকর খিচুড়ি নামক প্রজেক্টের জন্য সেরাদের মধ্যে থেকে সেরা এওয়ার্ড পেলেন লালমনিরহাট ০১ আসনের যুব সংসদ সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বাপ্পি। আজ শনিবার ঢাকা শহরের লালমাটিয়ায় অবস্থিত লাইসিয়াম কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত বাংলাদেশ তরুণদের অঙ্গিকার নামক প্রজেক্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে সফল প্রজেক্ট হিসেবে এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জানা যায়, মিনহাজুল ইসলাম বাপ্পি গ্লোবাল অ্যালাইন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন ও বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ থেকে তিনদিনের একটি ফুড সিস্টেম ও লিডারশীপ বিষয়ক ট্রেনিং নেয়। ট্রেনিং শেষে তিনি তার জেলা লালমনিরহাটের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দশ টাকায় পুষ্টিকর খিচুড়ি নামক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন। প্রজেক্টের মূল লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য হলো পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশিত করা।
ট্রেনিং নেয়ার পর তার জেলা লালমনিরহাটের স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জন্য তিস্তা খলিলুর রহমান খাদেম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশ টাকায় পুষ্টিকর খিচুড়ি নামক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেন।
লালমনিরহাট জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল ও কলেজে নেই কোনো ক্যান্টিন। যার ফলে সেসব এলাকার শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা স্কুল ও কলেজে পড়াশোনার জন্য অনেক দূর থেকে আসেন। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা দরিদ্রতার জন্য স্কুল ও কলেজে আসার সময় বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতে পারে না। দেখা গেছে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় ঝালমুড়ি বা ভাজাপোড়া খাবার খাচ্ছে ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। টিফিনের সময় লালমনিরহাট জেলার শিক্ষার্থীরা ভাজাপোড়া খাবার জেনো না খায় ও পুষ্টিকর খাবার জেনো নিশ্চিত করা যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা খলিলুর রহমান খাদেম উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে মিলছে ১০ টাকায় পুষ্টিকর খিচুড়ি। এই প্রজেক্টি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে লালমনিরহাট জেলায়।
প্রজেক্টট বাস্তবায়নকারী মিনহাজুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, এই প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন হওয়ায় বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন ২৩০-২৫০ জন শিক্ষার্থী টিফিনের সময় পুষ্টিকর খিচুড়ি খেতে পাচ্ছে। আগে শিক্ষকরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতো স্কুলে টিফিনের সময় খাবে বলে । বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরাও টিফিনের সময় একই খাবার খাচ্ছেন। এই প্রজেক্টের আরো একটি উদ্দেশ্য হলো জিনি বাবুর্চি আছেন তাকে স্বাবলম্বী করে তোলা। প্রতিদিন যে রান্না হয় শিক্ষার্থীদের সেই দশ টাকা থেকে বাবুর্চিকে দেয়া হয় ২ টাকা। যার মাধ্যমে তিনি ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই প্রজেক্টের মূল লক্ষই হলো শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুর রহমান গবেষণা পরিচালক ( উৎপাদন ও পূর্ব সতর্কীকরণ অধিশাখা), মাহমুদ হাসান, পরিচালক, ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি লিঙ্ক কৃষি নীতি কার্যক্রম,অধ্যাপক ড. মোঃ তৌফিকুল ইসলাম,সভাপতি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ ও পরিচালনা কমিটির সদস্য, রেজাউল করিম সিদ্দিকী, কৃষি বিষয়ে টিভি অ্যাঙ্কর (বিটিভি), খানসা রহমান, সভাপতি, ইয়ুথ এগেনেস্ট হাঙ্গার ও ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যু্ব ছায়া সংসদের যুব সংসদ সদস্যবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :