অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই- নাছিম


dailymukti24 প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন /
অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই- নাছিম

অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আ খ ম বাহার উদ্দিন নাসিম।

আজ ৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফাই ফেসবুক পেজে কে বিবৃতি প্রদান করেন তিনি।

বিবৃতিতে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের মাস চলছে। এই মাস বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনের মহিমায় মহিমান্বিত। ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে। তবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন শুরু হয়। ‘৭১-র এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসেবে যশোর শত্রু মুক্ত হয় এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম স্বীকৃতি পায়। প্রথম দেশ হিসেবে ভূটান বাংলাদেশকে এই স্বীকৃতি প্রদান করে। এর পর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। যারই ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির সুমহান বিজয় অর্জিত হয় এবং পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি ঔপনিবেশবাদী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসন-শোষণ, দমন-পীড়ন ও অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বাংলার মানুষ তাঁদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি চেয়েছিল। বাঙালির আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের প্রতিটি ধাপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও চেতনাকে সামনে রেখে স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতি মরণপণ লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র‍্যমুক্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথে ছিলাম আমরা। কিন্তু দেশবিরোধী গোষ্ঠী কখনোই চায়নি, বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠুক, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাঙালি জাতি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পাক। তাই স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তি বার বার বাংলাদেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ অর্জনের দ্বারপ্রান্তে ছিল তখনই এই অপশক্তি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের সরকারের পরিবর্তন ঘটায়। অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে একটি জবরদখলকারী গোষ্ঠী উন্নয়নের স্মারক বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংস করে এবং শত শত লাশের উপর দাঁড়িয়ে চক্রান্তের মাধ্যমে অবৈধভাবে সরকার গঠন করে। মেটিক্যুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এই অবৈধ দখলদাররা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। সকল মানুষের কণ্ঠরোধ করার জন্য দানবীয় প্রতিমূর্তি ধারণ করেছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। জনগণের কল্যাণের বিপরীতে তারা প্রতিনিয়ত গনবিরোধী কার্যক্রম করে চলেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের যাপিত জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মবসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হচ্ছে, নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যা গণহত্যার শামিল। অথচ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং ১৪ দলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাছ-বিচারহীনভাবে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। যার হাত থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোরও রেহাই পাচ্ছে না। পাবলিক প্লেসে যততত্র নারীকে হেনস্তা করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের ন্যূনতম জায়গা না থাকায় সমগ্র দেশের মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে। আমরা অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের এই ধরনের হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই বাংলাদেশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নয়। আমাদের কাঙ্ক্ষিত মাতৃভূমি গড়ে তোলার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যয়ে দীপ্ত দেশপ্রেমিক সকল মানুষকে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলমান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।