গণ ইফতার মাহফিলে বিশৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনার অভাব স্পষ্ট


dailymukti24 প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৫, ৯:২০ অপরাহ্ন /
গণ ইফতার মাহফিলে বিশৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনার অভাব স্পষ্ট
মোঃ সোলাইমান, বেরোবি প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণ ইফতার আয়োজন করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক। এই ইফতার আয়োজনে দুই হাজারের বেশি  শিক্ষার্থী ইফতার পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ইফতার না দিয়ে খালি প্যাকেট বিতরণ করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাহীন আচরণ ও আয়োজকদের দায়িত্বহীনতায় ইফতার বিতরণে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকাল ৫:৩০ মিনিটে আয়োজিত এই মাহফিলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। তবে, ইফতার বিতরণের সময় অনেকে লাইনে না দাঁড়িয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। কেউ কেউ ইফতার নেওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি করেন, ফলে অনেক আগত অতিথি ইফতার পাননি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে, আয়োজকদের সমন্বয়ের অভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। ইফতারি না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা ।
রাজু আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে পোস্টে লিখেন,যেটা ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারবেন না সেটা নিয়ে এত ঢোলপেটাবেন না।বিশৃঙ্খলা ও কোন সিস্টেম না করে লোক দেখানো ও শো আপ করার জন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ ইফতার মাহফিলের আয়োজন কেন করলেন?? ৪০% রোজাদার বান্দাদের আপনারা ইফতার দিতে পারেন নাই এবং অনেকে ইফতারের সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ইফতার করেছে( নিজের তত্বাবধানে)।কে বা কারা এরকম আয়োজন করেছেন তাঁরা নেক্সট টাইম কোন প্রোগ্রাম করলে সবদিক চিন্তা করে করবেন।
আমি শুধু একটা ওয়ান টাইম গ্লাস পেয়েছি। ইফতার না-পেয়ে কষ্ট লেগেছিল।
এম এম মুয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী পোস্ট করেন, বেরোবিতে এক টুকরো গাজা দেখলাম।
 ওমর ফারুক নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, মানুষকে এইভাবে অপমানিত না করলেও পারতেন।
সাব্বির এইচ নামের আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, সাধারন শিক্ষার্থীর ব্যানারে এসব প্রোগাম বন্ধ করেন। নিজের  বা কোন সংগঠনের  আপনারা তা ক্লিয়ার করে প্রোগাম করেন।
আমানুল্লাহ নামের  শিক্ষার্থী মন্তব্যে বলেন, এক টুকরো গাজা দেখলাম, যেটা পারবেন না সেটা করেন কেন? ১০০০+ মানুষ খাবার না পেয়ে ঘুরে আসছে…
নাইবুর নামের শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন , গণ হয়রানি
নুরুল হুদা নামে আরেক শিক্ষার্থী  মন্তব্য করেন, গণ ইফতারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এইদিকে আয়োজকদের মধ্যে রহমত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপাতত কোন বক্তব্য নেই। আমরা কাজের মধ্যে আছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড.শওকাত আলী বলেন, যারা আয়োজক ছিল তারা সবাই শিক্ষার্থী। প্রথম আয়োজন সেজন্য বুঝে উঠতে পারি। যাইহোক তারপরও তারা চেষ্টা করেছে। বড় আয়োজন একটু সমালোচনা থাকবেই।