ঝিনাইদহের পল্লীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬


dailymukti24 প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ৬:০৩ অপরাহ্ন /
ঝিনাইদহের পল্লীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬
জাহিদুল হক বাবু ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের পল্লীতে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জনআহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮টায় সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাড়ামারাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নজির বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
থানার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সফিউল আলম (সলোক) ও তার লোকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ওআওয়ামী লীগের কর্মী। গাড়ামারা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজিরের সাথে সলোকের দীর্ঘদিন ধরেবিরোধ চলে আসছিল । তারই সূত্র ধরে ১২ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় আবু সাইদ টুকুর দোকানে চা খাচ্ছিলনজির ও তার সমর্থকরা। ওই সময় সলোক, লিটন, মহিদুল ইসলাম, লুচ্চা মিয়া, আলমগীর, মুক্তার আলি, নজরুল ইসলাম, সোহাগসহ ছয় থেকে সাত জন লোক নজির গ্রুপের উপর অতর্কিত হামলা করে। একপর্যায়েউভয়ের পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়।
শফিউল আলম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণসম্পাদক ও উপজেলার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব আছেন। তিনিদীর্ঘদিন ধরে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে অন্যের জমি দখল, পুলিশি হয়রানি করে আসছিল।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, গাড়ামারা মৌজার ৯৩৭ নং দাগে ২৭.৮৮ শতক জমি নজির ও বশিরের বোনরাহেলা খাতুন পৈত্রিক সূত্রে মালিক। তিনি মারা যাবার পর তার ছেলে আজিত ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন।পরবর্তীতে আজিত গাড়ামারা গ্রামের মৃত হাতের আলীর ছেলে শফিউল আলম এর নিকট ১৯ জানুয়ারি ২০২৫বিক্রয় করেন। অথচ একই জমি আজিত তার মামা বশির ও নজিরের কাছে বিক্রি করার জন্য অগ্রিম টাকানিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শফিউল আলম (সলোক) অজিতকে টাকার লোভ দেখিয়ে ওই জমি ক্রয় করে। এরইজের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার রাতে উভয় গ্রুপের মধ্যেসংঘর্ষ হয়।
বিএনপি কর্মী নজির বলেন, সলোক দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এলাকার জমি দখল, সালিশ বাণিজ্যসহ পুলিশি হয়রানি করে আসছিল। এরই মধ্যে আমাদের বোনের জমি ভাগ্নেদের থেকে কৌশলেকিনে নিয়েছে। অথচ ওই জমি আগে থেকেই ভাগ্নেরা আমাদের কাছে বিক্রয় জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েছে। কিন্তুসালোক কৌশল করে ভাগ্নে অজিতের কাছ থেকে ওই জমি ক্রয় করে। জমি ফেরত নিতে চাইলে সলোক তাদেরউপরে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে সলোক তার লোকজনদের নিয়ে তাদের উপর হামলাকরে। আমরা এর একটা সুস্থ তদন্ত করে বিচার চাই।
শফিউল আলম (সলোক) বলেন, বশির ও নজিরের ভাগ্নে আজিতের থেকে ২৭.৮৮ শতক জমি ক্রয় করি।জমি ক্রয় করার পর আজ পর্যন্ত ওই জমি দখল দেই না। জমি দখল চাইতে গেলে তারা ঝামেলা করে। গতকালরাতে ওই জমি নিয়ে শালিস ছিল। পরে সালিশে গেলে তাদের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে।
আওয়ামী লীগ দলের কোনো পদবীতে আছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বাস্বেচ্ছাসেবক লীগ দলের কোনো পদে নেই।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুল্লাহ আল মামুন  বলেন, উপজেলার হলিধানী এলাকার গাড়ামারা গ্রামে মারামারির ঘটনায় একটা এজাহার পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।