এইচ বি সুমন আলী,তালতলী, বরগুনা-
বরগুনার তালতলী উপজেলার বড় আমখোলা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে পরিকল্পিতভাবে মো. আব্দুল কাদের মুন্সী (৬০) নামে এক কৃষককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার মূল আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে এখন উল্টো নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
রোববার (১৮ মে) সকাল ১১টায় বড় আমখোলা গ্রামে স্থানীয়দের আয়োজনে,ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিহত আব্দুল কাদের মুন্সী’র সন্তান তরিকুল ইসলাম ও মোসাঃ পলি আক্তারসহ স্থানীয় প্রায় তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী নাসির ও সিদ্দিক গংদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে কাদের মুন্সীকে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে ঘাতকরা।
সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো—এই হত্যাকাণ্ডের পরও ঘাতকরা ধৃষ্টতা দেখিয়ে নিহতের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে যে, “তাদের ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারবে এবং সেটাকেও দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেবে।”
এখানেই শেষ নয়—ঘাতকরা হত্যার পরপরই একটি সাজানো “তরমুজ নষ্টের” মামলা দিয়ে নিহত পরিবারের সদস্যদের হয়রানি শুরু করে। তারা এখন একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
মানববন্ধনে ভক্তরা প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন:রেখে বলেন
একজন নিরীহ কৃষককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পরও আসামিরা কীভাবে জামিনে মুক্ত থাকতে পারে?
হত্যার শিকার পরিবারের উপর আরও হামলার হুমকি দিয়ে কীভাবে তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়?
স্থানীয়দের দাবি, যদি দ্রুত আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো না হয়, তাহলে যে কোনো মুহূর্তে আরও বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী তিন শতাধিক গ্রামবাসী “পরিকল্পিত হত্যার বিচার চাই”, “ঘাতকদের ফাঁসি চাই”—এমন স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি:আসামিদের জামিন দ্রুত বাতিল করতে হবে
নতুন করে ঘর পোড়ানোর হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করতে হবে মিথ্যা মামলাগুলোর তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হবে। ভিকটিম পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে।এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে তালতলীর এই হত্যা মামলাটি আরেকটি ‘অবিচার’ এর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :