স্ত্রী-সন্তান, পরিবার ও নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে প্রাবাসে পাড়ি জমান ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নুরআলম খান। সেই স্বপ্ন আর পুরণ হলো না। মৃত্যুর ৩ মাস পর সৌদি প্রবাসী নুরআলম খানের মরদেহ পেলো স্বজনেরা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
নিহত প্রবাসী নুরআলম গোবিন্দপুর গ্রামের উমর আলী খানের পুত্র। বর্তমানে তার এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ছাড়াও নুরআলমের স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের স্বাজন হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, নিজের ও পরিবারের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে ২০২৪ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নুরআলম খান (৩৬)। সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না আর। মাত্র দুই মাসের মাথায় ২০ জানুয়ারী সৌদি আরবের রিয়াদে তিনি সড়কে দূর্ঘটনায় পড়েন। গুরুকর আহত অবস্থায় তাকে রিয়াদ ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জীবন বাঁচাতে ঐ সময় তার দুটি পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ফেব্রুয়ারী তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের মাতম। থেমে যায় একটি পরিবারের সব স্বপ্ন।
নিহতের আত্মীয় যুবদল নেতা মাহফুজ খান বলেন, ধার-দেনা করে প্রবাসে পাড়ি জমান আমার ভাইরা-ভাই নুরআলম খান। পৈতৃক ভিটা বাদে তার কোনো জমিজমা নাই। তার মৃত্যুতে স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যৎ খুবই খারাপ। কে দেখবে এই সংসার? নুরআলম প্রবাসে মারা যাওয়ার তিন মাস পর লাশ দেশে আসলো। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মরহুমের জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আপনারা সবাই শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য দোয়া করবেন এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :