মোঃ সুলতান মারজান (হৃদয়), রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৫নং বড়হযরতপুর ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কর্তৃক অনুমোদিত ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে ৯টি ওয়ার্ডের সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলেছেন, প্রকৃত কর্মীদের বাদ দিয়ে আত্মীয়স্বজন ও আওয়ামীপন্থী ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিকটাত্মীয় যেমন ভাই, ছেলে, ভাগিনা, বর্গাচাষী এমনকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। কমিটির একজন সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের মতে, “মনগড়া পকেট কমিটি” ইউনিয়নের বিএনপি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে। তারা অবিলম্বে এ কমিটি সংশোধনের দাবি জানান এবং কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গত ২৯ মে রাতে সেরুডাঙ্গা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু বলেন, “আমরা এই পকেট কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। ত্যাগীদের মূল্যায়ন চাই।” সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লালমিয়া বলেন, “স্বজনপ্রীতির এই কমিটি বিলুপ্ত না করলে ইউনিয়নে বিএনপির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।”
আপনার মতামত লিখুন :