উন্নত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য হুয়াওয়ে আইএএএস ব্যবহার করবে ইজিসিবি


dailymukti24 প্রকাশের সময় : জুন ৪, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ন /
উন্নত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য হুয়াওয়ে আইএএএস ব্যবহার করবে ইজিসিবি

ঢাকা, ৪ জুন ২০২৫: হুয়াওয়ের ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (আইএএএস)’ ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় এক বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি)। অবকাঠামোগত সুবিধাকে সেবা হিসেবে ব্যবহারের এই প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যবস্থায় সহায়তা করবে। চলতি সপ্তাহে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সদর দপ্তরে ইজিসিবি এবং হুয়াওয়ের স্থানীয় সহযোগী ওমেগা এক্সিম লিমিটেড-এর মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইজিসিবি-এর সুপারইনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড হেড অব আইসিটি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান খান এবং ওমেগা এক্সিম লিমিটেড-এর ডিরেক্টর আবদুল্লাহ আল মাকসুদ বেগ। হুয়াওয়ে এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির আওতায় হুয়াওয়ের আইএএএস-এর মাধ্যমে ইজিসিবি-এর ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআর) প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য হোস্ট করা হবে। এটি একটি সুরক্ষিত ও প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থার জন্য তৈরি করা হয়েছে যা ডেটা ব্যাকআপ, রেপ্লিকেশন, নিয়মিত রিকভারি টেস্টিংয়ের পাশাপাশি কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রæত তথ্য পুনরুদ্ধারের সুবিধা নিশ্চিত করবে। এর ফলে ইজিসিবির ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে সাহায্য করবে।
ওমেগা এক্সিম লিমিটেড স্থানীয় পর্যায়ে হুয়াওয়ের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি ক্লাউড-ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প পরিচালনা, ইজিসিবি কর্মীদের প্রশিক্ষণ, চুক্তির সময়কালে রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় নিয়মনীতি অনুসরণের দায়িত্বে থাকবে।
অনুষ্ঠানে মো. রাশেদুজ্জামান খান বলেন, “আমরা সব সময় দেশের এবং জনগণের জন্য সেরা মানের সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো আধুনিকায়ন করা আমাদের এটি প্রধান লক্ষ্য। সম্পূর্ণভাবে মূল্যায়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা দেখেছি যে, হুয়াওয়ের আইএএএস-ই সবচেয়ে উপযুক্ত। এর দক্ষতা অতুলনীয় এবং অভিজ্ঞতাও বিশ্ব মানের।”
আবদুল্লাহ আল মাকসুদ বেগ বলেন, “আমরা হুয়াওয়ের ক্লাউড সল্যুশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতার জন্য হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নানা ধরনের সেবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতের প্রয়োজন মেটাতে অত্যন্ত উপযোগী। হুয়াওয়ে ক্লাউড সেবার মান ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আমাদের গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক। ইজিসিবি-কে এই শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তারাও হুয়াওয়ে ক্লাউড ও আমাদের বিশেষ সেবার সুফল পাবে।”
এই চুক্তি সম্পর্কে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ক্লাউড বিজনেসের ডিরেক্টর ঝং ইউবিং বলেন, “ক্লাউড প্রযুক্তিতে আমাদের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কার্যকর সমাধান দিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। স্থানীয় প্রয়োজনের সঙ্গে মিল রেখে আমরা বিশ্বমানের সেবা দিতে চাই। ইজিসিবি-কে এই যাত্রায় সহায়তা দিতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, তারা আমাদের কাছ থেকে উন্নত সেবার অভিজ্ঞতা পাবে।”
আইসিটি খাতে হুয়াওয়ের ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অত্যাধুনিক পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গত চার বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাবলিক ক্লাউডের বাজারে হুয়াওয়ের সেবার ব্যবহার ২০ গুণ বেড়েছে। এই অঞ্চলের সেরা পাঁচটি পাবলিক ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হুয়াওয়ের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। হাইব্রিড ক্লাউডে শীর্ষস্থান ধরে রেখে হুয়াওয়ে ক্লাউড স্ট্যাক থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও হংকংয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।

বিস্তারিত জানতে:
তানভীর আহমেদ, হেড অব মিডিয়া, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া
০১৭১১০৮১০৬৪, ঃধহারৎ.পড়সসং@যঁধবির.পড়স

হুয়াওয়ে ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিষেবা এবং স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য হলো সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।
বাংলাদেশে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে ক্লাউড সলিউশন, ডিজিটাল পাওয়ার সলিউশন ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে এবং দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে আইসিটি অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালনে, বিশেষ করে প্রতিভা বিকাশে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ভ‚মিকা পালন করে আসছে।
দেশের আইসিটি অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সবসময় এর সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
হুয়াওয়ে; বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য।