*বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রোজ সামাজিক সংস্থার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি*


dailymukti24 প্রকাশের সময় : জুন ৬, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন /
*বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রোজ সামাজিক সংস্থার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি*

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে লালমনিরহাট-বুড়িমারী হাইওয়ে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় দুই শতাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ, রোজ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে সবুজায়ন কর্মসূচি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আজকে রুরাল অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট (রোজ) সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে লালমনিরহাট-বুড়িমারী হাইওয়ে রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় দুই শতাধিক বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রোজ সংস্থার কর্তাব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোজ সংস্থার সভাপতি মোঃ শফীকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই আমাদের মাতৃভূমি সারা বাংলাদেশ সবুজে ভরে উঠুক। এই গাছগুলো ভবিষ্যতে অক্সিজেনের পাশাপাশি ফল দেবে, যা স্থানীয়দের জন্য উপকারী হবে। আমরা সারা বাংলাদেশে গাছের চারা রোপনের কর্মসূচী হাতে নিতে চাই।”
ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন মো: জিল্লুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, উত্তর বাংলা কলেজ, কাকিনা, লালমনিরহাট, যিনি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “সবুজায়ন শুধু পরিবেশের জন্য নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বিনিয়োগ। আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে সর্বাত্মক সমর্থন দেব।”
স্থানীয় কাকিনা মহিমা রঞ্জন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, “আমরা গাছ লাগিয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। এই গাছগুলো বড় হলে আমাদের এলাকাটি আরও সুন্দর হবে।” রোজ সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোপিত গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কর্মসূচি শুধু গাছ রোপণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে টেকসই উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার একটি অংশ। রোজ সংস্থার সহসভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, “আমরা সামনে আরও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেব এবং সবাইকে এই উদ্যোগে শামিল হতে উৎসাহিত করব।”
পরিবেশ সুরক্ষায় সামাজিক সংগঠনগুলোর এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং এটি টেকসই উন্নয়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।