ভিত্তিপ্রস্তরে থমকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৩৬ স্মৃতিফলক’


dailymukti24 প্রকাশের সময় : জুলাই ৫, ২০২৫, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন /
ভিত্তিপ্রস্তরে থমকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৩৬ স্মৃতিফলক’

মেহেরুননেছা মেহের,বরিশাল প্রতিনিধি:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া ‘জুলাই ৩৬ স্মৃতিফলক’ । যা এখনো ভিত্তিপ্রস্তরেই আটকে আছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত ২৮ মে স্মৃতিফলকটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও এখনো কোনো নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। নির্ধারিত স্থানটি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে, নেই কোনো নির্মাণ সামগ্রী কিংবা প্রস্তুতির চিহ্ন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আরও জানা গেছে , ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে গেলে । ওই সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় প্রথম স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরদিন দেশজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় নির্মাণকাজ স্থগিত হয়ে যায়।

পরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীরা স্মৃতিফলকটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানালে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। তবে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের মেয়াদে প্রায় ৮ মাসেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করলে দায়িত্ব নেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ২৮ মে নতুন করে স্মৃতিফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

স্মৃতিফলক নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক ড. আলমগীর মোল্লা জানান, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এখনো বরাদ্দ হয়নি। পূর্বের উপাচার্য ইউজিসি থেকে বাজেট বরাদ্দের আশ্বাস দিলেও আর কোনো পদক্ষেপ নেননি। এমনকি ইউজিসিতে কোনো প্রতিবেদনও জমা দেননি বলে জানা গেছে।’

শিক্ষার্থীরা জানান, ‘নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রস্তাবিত ডিজাইনের কিছু পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং একজন পেশাদার স্থপতির মাধ্যমে ডিজাইন সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন। আগের বাজেটও বর্তমানে পর্যাপ্ত নয়। নতুন ইস্টিমেট তৈরি করে ইউজিসিতে আবেদন করার কথা থাকলেও তা এখনো জমা দেওয়া হয়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, ‘স্মৃতিফলক নির্মাণের জন্য নতুন ব্যয় নির্ধারণ করে ইস্টিমেট প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। সেটি ইউজিসিতে বরাদ্দ পাওয়ার আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। প্রস্তাবিত ডিজাইনের কিছু অংশে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে। সব প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হলে ইউজিসিতে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু হবে।’