

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয় এবং সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মারধরের শিকার হন সাংবাদিক নূর-ই-আলম, রবিউল আলম-সহ আরও অনেকে। এ ঘটনায় আশপাশে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আহত হন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলো। রবিবার (১৩ জুলাই) পৃথক বিবৃতিতে শাখা ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত ছাত্র মজলিস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া তীব্র নিন্দা জানায় এবং দ্রুত বিচার দাবি করে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের মারধর করা হয় এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা পরে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এক নারী শিক্ষার্থীকে সামনে এনে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালায়।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর এই নির্মম হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে রাফিজ আহমেদ বলেন, সংবাদকর্মীরা সবসময় পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তাদের ওপর হামলা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের মধ্যে সহানুভূতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, খেলাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত।
খেলাফত ছাত্র মজলিসের হাবিবুর রহমান জুনাইদ বলেন, এই হামলা শুধু সাংবাদিকতার ক্ষতি নয়, এটি স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধাচরণ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঙ্কজ রায় বলেন, ভিডিও ধারণ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়, যা খুবই দুঃখজনক।
জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি শামীম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে। সত্য ও ন্যায়ের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :