আরিফুল ইসলাম | সালথা (ফরিদপুর)
ফরিদপুরের সালথায় ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলে স্থানীয় কিছু নারী মানববন্ধন করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের টাকা না দেওয়ায় তারা কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে তদন্তে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র।
বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, পূর্বের ভিজিডি কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুনভাবে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী দরিদ্র নারীরা আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে প্রায় ৭০০ আবেদন জমা পড়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম যাচাই-বাছাই শেষে ২৫২ জনকে মনোনীত করে। এই তালিকা অনলাইনে প্রকাশিত হয় এবং কোন আপত্তি না থাকায় চূড়ান্ত করা হয়।
ইউপি সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা শুধুমাত্র আবেদন প্রক্রিয়ার তথ্য প্রচার করেছেন। যাচাই-বাছাই বা কার্ড নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। আবেদন ও যাচাই সম্পূর্ণভাবে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীদের অনেকে ৫০ বছরের বেশি বয়সী বা আবেদন করেননি বলে জানা গেছে। কারো কারো আবেদন যোগ্য হলেও সীমাবদ্ধতার কারণে কার্ড পাননি।
বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন,
“ভিজিডি কার্ডের জন্য কোন টাকা লাগে না—এ ঘোষণা আমি নিজেই দিয়েছি। আবেদন যাচাইয়ের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। আমরা কোনো তালিকা তৈরিতে যুক্ত ছিলাম না। যারা মানববন্ধন করেছেন, তারা বিভ্রান্ত হয়ে করেছেন। কেউ যদি প্রকৃত প্রমাণ দেখাতে পারেন, আমি ব্যবস্থা নেব।”