ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সালথায় মসজিদ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪০

সালথায় মসজিদ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪০

আরিফুল ইসলাম | সালথা (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড়বাহিরদিয়া পশ্চিমপাড়ায় মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিএনপি সমর্থক লুৎফর মোল্লা ও মৌলভী হেমায়েত হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। বড়বাহিরদিয়ার শ্যামের মোড়ে নির্মিত মসজিদের চাবি নিয়ে বিরোধ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে। ওইদিন স্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ এবং পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন।
কিন্তু শুক্রবার সকালে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকেরা লুৎফর মোল্লার পক্ষের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চার ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন এবং কয়েকটি বাড়িঘর ও একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
লুৎফর মোল্লা ও মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

ট্যাক

সালথায় মসজিদ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪০

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

আরিফুল ইসলাম | সালথা (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড়বাহিরদিয়া পশ্চিমপাড়ায় মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিএনপি সমর্থক লুৎফর মোল্লা ও মৌলভী হেমায়েত হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। বড়বাহিরদিয়ার শ্যামের মোড়ে নির্মিত মসজিদের চাবি নিয়ে বিরোধ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকালে। ওইদিন স্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ এবং পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন।
কিন্তু শুক্রবার সকালে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকেরা লুৎফর মোল্লার পক্ষের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চার ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন এবং কয়েকটি বাড়িঘর ও একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
লুৎফর মোল্লা ও মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”