ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হাতীবান্ধায় মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির, তবুও প্রশাসনের টনক নড়েনি! - দৈনিক মুক্তি

হাতীবান্ধায় মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির, তবুও প্রশাসনের টনক নড়েনি!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি-

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক আলোচিত মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই— এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির ওরফেে সাহেবুর রহমান মোস্তাজীর তিনি উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। গত বছর ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হতে মামলার এ আসামী হাতীবান্ধা উপজেলায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে শেখ হাসিনার বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে অংশ গ্রহন করে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন।

সূত্র জানায়, গত ৩রা মার্চ/২০২৫ তারিখে হাতীবান্ধা থানায় বাদী যুবদল নেতা মোতাহার হোসেন মিন্টুর দায়ের করা এক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সাহেদ মোস্তাজির নাম আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্ত চলমান থাকলেও আসামী প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং মোটা অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাব খাটিয়ে স্বাভাবিকভাবে সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া তার শ্যালক রাহাত এর বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, হুমকি সহ নানা অপরাধের অভিযোগ।

অপরদিকে কালীগঞ্জ একজন নারীকে নানা রকম হুমকী ধুমকির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন সেই ভুক্তভোগী নারী।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আইনের চোখে সবাই সমান হলেও, এখানে কিছু মানুষ যেন আইনের ঊর্ধ্বে। প্রশাসন জানে, দেখেও চুপ।” এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে— প্রশাসনের নীরবতা কি প্রভাবশালী আসামীদের প্রতি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে?

এ বিষয়ে মামলার বাদি যুবদল নেতা মোতাহার হোসেন মিন্টুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কিছু আসামী আটক হয়েছেন কিছু জামিনে রয়েছে আবার কেউ পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানা সুত্রে জানা গেছে এ মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেফতার চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাক

হাতীবান্ধায় মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির, তবুও প্রশাসনের টনক নড়েনি!

আপডেট সময় ০৯:২৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
লালমনিরহাট প্রতিনিধি-

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক আলোচিত মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই— এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। মামলার আসামী সাহেদ মোস্তাজির ওরফেে সাহেবুর রহমান মোস্তাজীর তিনি উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। গত বছর ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হতে মামলার এ আসামী হাতীবান্ধা উপজেলায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে শেখ হাসিনার বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে অংশ গ্রহন করে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন।

সূত্র জানায়, গত ৩রা মার্চ/২০২৫ তারিখে হাতীবান্ধা থানায় বাদী যুবদল নেতা মোতাহার হোসেন মিন্টুর দায়ের করা এক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সাহেদ মোস্তাজির নাম আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্ত চলমান থাকলেও আসামী প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং মোটা অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাব খাটিয়ে স্বাভাবিকভাবে সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া তার শ্যালক রাহাত এর বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, হুমকি সহ নানা অপরাধের অভিযোগ।

অপরদিকে কালীগঞ্জ একজন নারীকে নানা রকম হুমকী ধুমকির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন সেই ভুক্তভোগী নারী।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আইনের চোখে সবাই সমান হলেও, এখানে কিছু মানুষ যেন আইনের ঊর্ধ্বে। প্রশাসন জানে, দেখেও চুপ।” এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে— প্রশাসনের নীরবতা কি প্রভাবশালী আসামীদের প্রতি বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে?

এ বিষয়ে মামলার বাদি যুবদল নেতা মোতাহার হোসেন মিন্টুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কিছু আসামী আটক হয়েছেন কিছু জামিনে রয়েছে আবার কেউ পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানা সুত্রে জানা গেছে এ মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেফতার চেস্টা অব্যাহত রয়েছে।