মোঃ সুলতান মারজান (হৃদয়) রংপুর প্রতিনিধি:-
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) প্রতিরোধে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে একাধিক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল ইউনিয়নে নিয়মিত টীকাদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া মাংস বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করা হচ্ছে, যাতে তারা কোনোভাবেই অসুস্থ পশু জবাই না করে। একইসাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সাথে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
খামারিদের নিয়ে উঠান বৈঠক আয়োজন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ, এবং বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতা কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, পরিচালক ও উপ-পরিচালকরা নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন। ইতোমধ্যে একজন উপ-পরিচালককে মিঠাপুকুর উপজেলায় সার্বিক কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলায় বর্তমানে গরুর সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ এবং ছাগল রয়েছে দেড় লক্ষাধিক। সরকারি বরাদ্দে টিকার সংখ্যা মাত্র ৩৪ হাজার, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর তদারকির মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রুত চিকিৎসা না করলে আক্রান্ত পশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে এবং মানুষের জীবনেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই তারা সকল খামারি, মাংস ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে অসুস্থ পশু থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিঠাপুকুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলতাব হোসেন বলেন, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। মাঠপর্যায়ে টীকাদান, প্রচারণা ও সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সীমিত টিকা সত্ত্বেও খামারি ও সাধারণ মানুষকে একত্রিত করে যদি আমরা সবাই সতর্ক হই, তাহলে এ রোগ সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মিঠাপুকুরের জনগণের সহযোগিতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।