মিঠাপুকুরে গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধামাচাপা দিতে মিথ্যা অপহরণ মামলা


dailymukti24 প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৪, ২০২৫, ৯:০২ পূর্বাহ্ন /
মিঠাপুকুরে গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধামাচাপা দিতে মিথ্যা অপহরণ মামলা
সুলতান মারজান হৃদয়, রংপুর প্রতিনিধি :-
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক গৃহবধূকে পুনরায় বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উল্টো ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের আসামি করে একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী ঔ নারী মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কানুদাস পাড়া গ্রামের সাইদুল প্রধানের কন্যা। প্রায় তিন মাস আগে ছোট হযরতপুর গ্রামের নওশা মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম তাকে তালাক দেন । তাদের ঘরে একটি ১০ মাসের সন্তান রয়েছে। এদিকে তালাকের পর থেকেই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ভুক্তভোগী ঔ নারী ।
জানা যায়, তালাকের পরও আব্দুর রহিম প্রায়ই মোবাইলে যোগাযোগ করে পুনরায় বিবাহের প্রলোভন দেখাতো। ঘটনার দিন গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে সন্তানকে দেখার অজুহাতে সে রুবাইয়া আক্তারের বাড়ির সামনে আসে। পরে কৌশলে তাকে দাদির বাড়ির ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে দ্রুত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে চাইলে এলাকাবাসী তাকে আটক দেয়। এদিকে সেটির সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত যুবকের বাবা মিঠাপুকুর থানায় একটি মিথ্যা অপহরণের অভিযোগ দিয়ে পুলিশের সহায়তায় ছেলেকে নিয়ে আসে।
ঘটনার পর অভিযুক্ত পক্ষ কৌশল খাটিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় একটি মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করে। এতে প্রকৃত অপরাধ আড়াল করে ভিকটিম ও তার পরিবারকে হয়রানি করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
এদিকে ভুক্তভোগী ঔ নারী মিঠাপুকুর থানার একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ধর্ষণের মামলা দায়েরের ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বরং সে প্রকাশ্যে বাড়িতে অবস্থান করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আসামি পক্ষ আইনকে ফাঁকি দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তারা ভিকটিমের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।