ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাজরা-পাতা মোড়ানো পোকার দাপটে বিপর্যস্ত আমন চাষ - দৈনিক মুক্তি

মাজরা-পাতা মোড়ানো পোকার দাপটে বিপর্যস্ত আমন চাষ

 রিকাত আল বারী | লালমনিরহাট

লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার ব্যাপক আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। পোকা দমনে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না তারা। এতে একদিকে ফলনের আশঙ্কাজনক ক্ষতি, অন্যদিকে খরচের বোঝায় পড়েছেন চাষিরা।

কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বিঘা জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে খরচ পড়ছে প্রায় পাঁচশত টাকা, যা বারবার প্রয়োগ করতে হচ্ছে। কিন্তু তবুও পোকার আক্রমণ থামছে না। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে উৎপাদন কমে যাবে এবং তাদের বছরের পরিশ্রম ও বিনিয়োগ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে ৮৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। তবে চলমান পোকার আক্রমণে পুরো জেলাজুড়ে উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আক্রান্ত এলাকাগুলোতে পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “কৃষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, আমরা নিবিড় তদারকিতে রয়েছি।”

তবে অনেক কৃষক মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। তারা প্রশাসনের কাছে ত্বরিত সহায়তা ও বিশেষ দমন অভিযানের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাক

মাজরা-পাতা মোড়ানো পোকার দাপটে বিপর্যস্ত আমন চাষ

আপডেট সময় ০৮:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

 রিকাত আল বারী | লালমনিরহাট

লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার ব্যাপক আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। পোকা দমনে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না তারা। এতে একদিকে ফলনের আশঙ্কাজনক ক্ষতি, অন্যদিকে খরচের বোঝায় পড়েছেন চাষিরা।

কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বিঘা জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে খরচ পড়ছে প্রায় পাঁচশত টাকা, যা বারবার প্রয়োগ করতে হচ্ছে। কিন্তু তবুও পোকার আক্রমণ থামছে না। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে উৎপাদন কমে যাবে এবং তাদের বছরের পরিশ্রম ও বিনিয়োগ ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে ৮৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। তবে চলমান পোকার আক্রমণে পুরো জেলাজুড়ে উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আক্রান্ত এলাকাগুলোতে পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “কৃষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, আমরা নিবিড় তদারকিতে রয়েছি।”

তবে অনেক কৃষক মনে করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। তারা প্রশাসনের কাছে ত্বরিত সহায়তা ও বিশেষ দমন অভিযানের দাবি জানিয়েছেন।