
রাজশাহী প্রতিবেদক: গত ২৩ অক্টোবর কালবেলা ও ভয়েস বাংলার অনলাইন ভার্সন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ অন্যান্য পত্র-পত্রিকায় বিচ্ছিন্নভাবে ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাওয়ার পথে সাংবাদিকের ওপর হামলা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম অরণ্য কুসুম।
এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, আমাকে সহ দলের তানোর উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ের আরও দুইজনকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গত ২৩ অক্টোবর সকালে তানোর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিন মুন্সীকে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে এলাকার দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে দুপুরে তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ভাইয়ের সাথে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ছুটে আসি এবং আহত শরীফ উদ্দিন মুন্সীর শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে থাকি। ঠিক এমন সময়ে তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তানোর উপজেলার সাবেক ইউএনও এবং বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঞা তানোরে এসেছেন এবং পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি সাবেক পৌর মেয়র মিজান ভাইকে মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ এঁর জন্যে ডাকেন। পরে মিজান ভাই আমাকে সহ তাঁর গাড়ি নিয়ে উপজেলা পরিষদে ডোকার সময় দেখি লুৎফর নামে এক ব্যক্তি কৃষি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা এবং বর্তমান সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি নিয়ে ব্যাঙ্গত কথাবার্তা ও আওয়ামীলীগের আমলেই আমরা ভালো ছিলাম এমন অসংলগ্ন বাজে কথা বলছিলেন। এ-সময়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেনো ব্যাঙ্গত কর্থাবার্তা বলছেন। ঠিক তখনই তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তাঁর এ আচরণ দেখে, ওই স্থানে উপস্থিত দর্লীয় কয়েকজন নেতাকর্মী তাঁর উপর এঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তেজিত হলে আমি ও মিজান ভাইসহ দর্লীয় নেতৃবৃন্দরা তাঁদের শান্ত করি এবং নেতাকর্মীদের উত্তেজিত হওয়া দেখে ব্যাঙ্গত কর্থাবার্তা বলা লুৎফর নামে ওই ব্যক্তি কৌশলে নিজে থেকে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। প্রকৃত সত্য উপরিক্ত এই ঘটনায় ওই স্থানে উপস্থিত একাধিক সাক্ষীও রয়েছে।
তবে, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, লুৎফর নামে ওই ব্যক্তি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনের মালিকানাধীন ও মুত্রপাত্র রাজশাহীর সোনার দেশ পত্রিকা ও ঢাকার কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি। আবার অনেক সময় সে নিজেকে জামায়াতের নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি বলেও পরিচয় দেয়। কথিত গণমাধ্যমকর্মী লুৎফর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিনের জামাই। সে সূত্র ধরে, বিএনপি নেতার পরিচয়ে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসে প্রান্তিক কৃষকের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির কার্ড হাতিয়ে নিতে সে উপজেলায় এসেছিলেন আর তা না পেয়ে অফিসের নিচে দাঁড়িয়ে থেকে জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা এবং বর্তমান সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি নিয়ে ব্যাঙ্গত কথাবার্তা বলছিলেন তিনি। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারে সময়ে চাকরি পেতে তদবির করতে গিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িতও ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, একদম হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান এ লুৎফর বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে ব্যাপক অর্থবিত্তের মালিক বনে গেছেন। যা নিয়ে তাঁর নিজ এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে।
এতকিছুর পরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় রকমারি মিথ্যা শিরোনামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মিথ্যা মামলায় বারবার কারানির্যাতিত নেতা তানোরের সাবেক মেয়র মিজান ভাই, বিএনপি নেতা ইয়াসিন ভাই এমনকি তাঁদের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মারধরের সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে। আর এসব নিউজে দর্লীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী কারও কোন বক্তব্যও নেই। মূলত, লুৎফর নামে ওই কথিত সাংবাদিকের উপর হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং, তাঁকে উত্তেজিত কর্মীদের হাত থেকে বাঁচানো হয়েছে। আর এখন তিনিই উল্টো রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটতে ও আমাদেরকে সম্মানহানী করতে মনগড়া ও কাল্পনিক এসব নিউজ প্রকাশ করিয়েছে।
উক্ত পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের কতিপয়দের পরামর্শে লুৎফর নামে ওই ব্যক্তি এখন নিজেকে বাঁচাতে উল্টো প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত সে। শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে, প্রকাশিত সংবাদে অসত্য মিথ্যা ঘটনা সমর্থন করতে না পেরে উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
-রবিউল ইসলাম অরণ্য কুসুম,
যুগ্ম-আহ্বায়ক রাজশাহী জেলা যুবদল।

প্রতিবেদকের নাম 












