ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মিঠাপুকুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ছিলেন দুইদিন - দৈনিক মুক্তি

মিঠাপুকুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ছিলেন দুইদিন

মো. রতন মিয়া-পীরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের মিঠাপুকুরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহেল মিয়া (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত সোহেল মিয়া উপজেলার পূর্ব বড়বালা ইউনিয়নের ভোলার পাতার গ্রামের আজাদুল হক ওরফে ক্যাতার ছেলে। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় মোনারুল চৌকিদার সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে বালুয়া বাজারে নিয়ে যান। পরে তিনি সোহেলকে মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী মিলনপুর গ্রামের আশরাফুল মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যান।

অভিযোগ অনুযায়ী, আশরাফুল মেম্বার তার ভাতিজি জামাতার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সোহেলকে সন্দেহভাজন মনে করে নিজ বাড়িতে দুইদিন ধরে আটক রেখে অমানবিকভাবে নির্যাতন চালান। নির্যাতনের একপর্যায়ে সোহেলের অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে বুধবার রাত ১০টার দিকে আশরাফুল মেম্বার স্থানীয় হাবিবুরের মাধ্যমে সোহেলের বাবা-মাকে ডেকে সাদা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তাদের হাতে তুলে দেন।

পরবর্তীতে অচেতন অবস্থায় সোহেলকে বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজাদুল হক ওরফে ক্যাতা জড়িতদের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয়দের দাবি, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

ট্যাক

মিঠাপুকুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ছিলেন দুইদিন

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

মো. রতন মিয়া-পীরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের মিঠাপুকুরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহেল মিয়া (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত সোহেল মিয়া উপজেলার পূর্ব বড়বালা ইউনিয়নের ভোলার পাতার গ্রামের আজাদুল হক ওরফে ক্যাতার ছেলে। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় মোনারুল চৌকিদার সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে বালুয়া বাজারে নিয়ে যান। পরে তিনি সোহেলকে মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী মিলনপুর গ্রামের আশরাফুল মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যান।

অভিযোগ অনুযায়ী, আশরাফুল মেম্বার তার ভাতিজি জামাতার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সোহেলকে সন্দেহভাজন মনে করে নিজ বাড়িতে দুইদিন ধরে আটক রেখে অমানবিকভাবে নির্যাতন চালান। নির্যাতনের একপর্যায়ে সোহেলের অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে বুধবার রাত ১০টার দিকে আশরাফুল মেম্বার স্থানীয় হাবিবুরের মাধ্যমে সোহেলের বাবা-মাকে ডেকে সাদা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তাদের হাতে তুলে দেন।

পরবর্তীতে অচেতন অবস্থায় সোহেলকে বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজাদুল হক ওরফে ক্যাতা জড়িতদের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয়দের দাবি, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।