
শুক্রবার সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বাশঁতলা বিওপির পাশে হক নগর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদিরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন,দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুপ রতন সিংহ,থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহেদুল হক,হকনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহমদ ও সহকারী শিক্ষক এনামুলহকসহ আরো অনেকেই।
সভাপতির বক্তব্যে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেছেন,সীমান্তবর্তী দোয়ারাবাজার উপজেলায় তিনটি বিওপি(বাগানবাড়ি,পেকপাড়া ও বাশঁতলা) রয়েছে। এখানে তিনটি বিওপির মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা,চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি”র সদস্যরা দিনরাত নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এইসব এলাকা দিয়ে প্রায়ই চোরাকারবারীরা গভীর রাতে ভারতীয় অবৈধ গরুর চালান এবং শুস্ক মৌসুমে সুপারী পাচারের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। এইসব অবৈধ চোরাচালান রোধে চোরাকারবারীরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে থাকে। ফলে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে কখনো কখনো সীমান্তে প্রানঘাতী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। তিনি আরো বলেন এই উপজেলার বাগানবাড়ি বিওপির এলাকায় বোগলাবাজারে একটি পশুর হাট রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা থেকে মাত্র ১.৫কিলোঃ দূরে অবস্থিত। সীমান্তঘেষা উঁচু নীচু,টিলা,খাল বিল ও র্দূগম ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই এলাকাটি চোরাকারবারীদের জন্য আর্কষনীয় এবং নিরাপদ হয়ে উঠেছে। ফলে সুযোগ সন্ধানী চোরাকারবারীরা এইসব প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরুর চালান বাংলাদেশে এনে কোনভাবে বোগলাবাজারের পশুরহাটে প্রবেশ করলেই প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা বৈধতা পেয়ে যায়। ফলে এসব অবৈধ ভারতীয় গরু হওয়ার পর ও বিজিবি কর্তৃক অনেক সময় আটক করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তিনি আরো বলেন সুনামগঞ্জে বিস্তৃর্ণ সীমান্ত এলাকায় ১৯টি বিওপির সদস্যরা টহল দিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা করার প্রানান্তর চেষ্ঠা করেন। তারপরেও এই সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধ,অনুপ্রবেশ ঠেকানো বিজিবি”র একার পক্ষে একটা চ্যালেজিং বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। তাই শিক্ষক মন্ডলীর যারা শিক্ষক রয়েছেন তাদের বাচ্ছাদের ক্লাসে বই পড়ার পাশাপাশি সীমান্তে অবৈধ গরু চোরাচালানের বিষয়,অনুপ্রবেশ সম্পর্কে ধারনা দেয়ার আহবান জানান পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় যারা সচেতন ও সুশীল সমাজের লোকজন রয়েছেন তাদের একজন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে যারা এইসব চোরাচালানের সাথে সংশ্লিষ্ঠ রয়েছেন তাদের এই বিপদজনক রাস্তা থেকে ফিরে আসতে তাদের ভূমিকা গুরুত্ব বহন করে এজন্য জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন সবাইকে মনে রাখা দরকার এই দেশটা আমাদের সকলের, তাই সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে সীমান্ত সুরক্ষার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করার আহবান জানান তিনি। ##