ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হাতীবান্ধা হাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান - দৈনিক মুক্তি

হাতীবান্ধা হাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

মাজারুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা হাটের সরকারি জমি দখল করে নির্মিত অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রন্টি পোদ্দার।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাতীবান্ধা হাটের উন্মুক্ত জায়গা দখল করে পাকা ঘর তুলে সেগুলো ভাড়া দিচ্ছিল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা জায়গার সংকটে পড়ছিলেন। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে জামানত দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনাতেই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার নোটিশ ও মাইকিং করেও দখলদাররা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার বলেন, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কয়েকটা করে দোকান দখলে নিয়ে ভাড়া দেন। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় আমরা খুবই খুশি।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া বলেন, যত্রতত্র দোকান গড়ে ওঠায় হাটে ঠিকমতো ঢোকা যায় না, সবসময় যানজট লেগে থাকে। উচ্ছেদ অভিযান করায় আমরা খুশি।

ব্যবসায়ী কালাম বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা খুশি। এখন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যদি দোকান পান, তাহলে আরও ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ৫/৭ টা করে রুম দখল করে নিজেদের মতো করে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছিল। বিগত ৬ মাস ধরে অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনদিন মাইকিংও করা হয়েছে। তারপরও তারা স্থাপনা সরায়নি। তাই আজ অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা আমরা বন্ধ করবো না। তাদেরকে বাজারে পুনর্বাসন করা হবে।

ট্যাক

হাতীবান্ধা হাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

আপডেট সময় ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

মাজারুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা হাটের সরকারি জমি দখল করে নির্মিত অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রন্টি পোদ্দার।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাতীবান্ধা হাটের উন্মুক্ত জায়গা দখল করে পাকা ঘর তুলে সেগুলো ভাড়া দিচ্ছিল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা জায়গার সংকটে পড়ছিলেন। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে জামানত দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনাতেই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার নোটিশ ও মাইকিং করেও দখলদাররা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে প্রকৃত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার বলেন, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী কয়েকটা করে দোকান দখলে নিয়ে ভাড়া দেন। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় আমরা খুবই খুশি।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া বলেন, যত্রতত্র দোকান গড়ে ওঠায় হাটে ঠিকমতো ঢোকা যায় না, সবসময় যানজট লেগে থাকে। উচ্ছেদ অভিযান করায় আমরা খুশি।

ব্যবসায়ী কালাম বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা খুশি। এখন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যদি দোকান পান, তাহলে আরও ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ৫/৭ টা করে রুম দখল করে নিজেদের মতো করে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছিল। বিগত ৬ মাস ধরে অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনদিন মাইকিংও করা হয়েছে। তারপরও তারা স্থাপনা সরায়নি। তাই আজ অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা আমরা বন্ধ করবো না। তাদেরকে বাজারে পুনর্বাসন করা হবে।