
ফাহিম হোসেন রিজু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গত দু’দিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বিপর্যয়। মাঠজুড়ে পাকা আমন ধান ঝড়ে নুয়ে পড়েছে, আর আলু ও শীতকালীন সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকের মুখে নেমেছে হতাশা—চিন্তার ভাঁজে ভরপুর গোটা গ্রামাঞ্চল।
উপজেলার কানাগাড়ী, ডুগডুগি, শৌলা ও রাণীগঞ্জের কৃষকরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে আমন ধান কেটে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে পানির চাপ ও ঝোড়ো হাওয়ায় ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ফলে ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বুলাকীপুর ইউনিয়নের বরাতীপুর গ্রামের কৃষক আইনুল মিয়া বলেন, “ধান প্রায় কাটার মতো হয়ে গিয়েছিল। এই বৃষ্টি সব শেষ করে দিলো। ধান শুকাতে পারবো না, দোচালা ধানের দানা কমে যাবে। লোকসান ছাড়া কিছুই দেখছি না।”
এদিকে আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, মুলা ও বেগুনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে থাকায় শীতকালীন সবজি চাষের ক্ষতি বাড়ছে। পালশা ইউনিয়নের উচিতপুর গ্রামের কৃষক শাহীন আলম বলেন, “আগাম আলু লাগাইছি। পানি জমে থাকলে চারা পচে যাবে। কী করবো বুঝতাছি না।”
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও কৃষকদের সহায়তার উদ্যোগ চলছে। কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, “ধান নুয়ে পড়ায় দ্রুত পানি নিষ্কাশনের পর যত দ্রুত সম্ভব ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে।”
এ অবস্থায় কৃষকরা বলছেন, “পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলবো কীভাবে?” — সরকারের কাছে প্রণোদনা ও সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।