চরফ্যাসনে গেজেটভুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
dailymukti24
প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন /
০

এম ফাহিম, চরফ্যাসন (ভোলা) :
ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের চরলিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক গেজেটভুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন কর্মরত সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের নাম চূড়ান্ত গেজেটে বাদ দিয়ে অপর এক শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা রফিকুল ইসলামের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেশমা বেগম ও মরিয়মসহ স্থানীয়রা জানান, ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালে খসড়া গেজেটে চারজন শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত হলেও ২০১১ সালে অব্যাহতি নেওয়া শিক্ষক আমেনা বেগম পুনরায় পদ দাবি করায় ২০১৮ সালের চূড়ান্ত গেজেটে তিনজন শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত হলেও বাদ পড়েন রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট (নং ৬৪১৬/২৪) দায়ের করেন।
রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ভূপেষ রঞ্জন রায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে মতামত পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু মামলার রায় হওয়ার আগেই আমেনা বেগমের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে আমেনা বেগম দাবি করেন, তার অব্যাহতি নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তবে বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি আবদুল মালেক ব্যাপারী জানান, ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর আমেনা বেগম অব্যাহতি নেওয়ার পর ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সুতরাং আমেনার দাবি অযৌক্তিক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম বলেন, তিনি আমেনা বেগমের পক্ষে কোনো কাগজপত্র দেননি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, মামলার তথ্য উল্লেখ করেই প্রয়োজনীয় নথি পাঠানো হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রতিবেদনে মামলার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তবে মামলার রায় হওয়ার আগে প্রতিবেদন দেওয়া যায় কি না—সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ভূপেষ রঞ্জন রায় বলেন, রফিকুল ইসলামের হাইকোর্টে রিটের বিষয়টি তিনি জানেন না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যদি এ তথ্য উল্লেখ না করেন, তবে তার দায়ভার তিনিই নেবেন।
আপনার মতামত লিখুন :