১৯৬৮ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৮৬ সালে সরকারীকৃত হলেও আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। একসময় এখানে ৭-৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করলেও বর্তমানে সংখ্যাটা নেমে প্রায় এক হাজারে। শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে নতুন ৬ তলা বিজ্ঞান ভবনেই সব বিভাগের ক্লাস চলছে।
প্রাক্তন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু হানিফ জানান, অনুমোদিত ৫৫টি পদের বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। ইংরেজি, কৃষি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে শিক্ষক শূন্য। এছাড়া শরীরচর্চা শিক্ষক, ক্যাশিয়ার, অফিস সহায়ক, নৈশ প্রহরী ও বেয়ারার পদও খালি।
ছাত্ররা জানায়, অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা দূর থেকে প্রতিদিন ক্লাসে আসেন। ফলে ক্লান্ত শরীর নিয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নুরুন্নাহার বলেন, খেলার মাঠ পরিত্যক্ত, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ, হোস্টেলের অবস্থা বেহাল, এবং ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আহসান পার্ভেজ খোকন বলেন, “কলেজের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। মিলনায়তন, মসজিদ, মাঠ, হোস্টেল, ছাত্র সংসদ ভবন, ল্যাবরেটরি ও প্রশাসনিক ভবনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহায়তা কামনা করছি।”