ঢাকাইয়া দরিদ্রদের প্রতিবেশী পীরগঞ্জের সিরাজ!


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ৫:২৪ অপরাহ্ণ /
ঢাকাইয়া দরিদ্রদের প্রতিবেশী পীরগঞ্জের সিরাজ!
রতন মিয়া, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  রংপুর-৬,পীরগঞ্জ (২৪)  আসনে বাংলাদেশ  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজি জামাই বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিল্প উদ্যোক্তা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় রাজারামপুর গ্রামের এক বিখ্যাত মুসলিম পরিবারের মরহুম আব্দুল  হাকিম মিয়া’র ছেলে। তার বড় ভাই উপজেলার রামনাথপুর  ইউনিয়ন পরিষদের সাদেকুল ইসলাম (বিএসসি)। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পীরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করে আছেন। করোনাকালীন সময়ে উপজেলায় বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং ২০০৭ সাল থেকে পীরগঞ্জের যেসব দরিদ্র মানুষ কর্মের তাগিদে ঢাকায় বসবাসরত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তাদের লাশ পীরগঞ্জে পাঠানো ও দাফনের ব্যাবস্থা করে আসছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আবার ঢাকাস্থ্য রংপুর বিভাগ সমিতির নির্বাচিত অর্থ সম্পাদক।
ভদ্র তরুণ্যের আইকন সাদালাপী হিসেবে পরিচিত সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাই কমান্ড জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সজীব ওয়াজেদ জয় কে এ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন তাহলে আমি তার পক্ষে সর্বাত্মকভাবে কাজ করব। আর তাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করলে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে অনুরোধ করবো আমাকে যেন দলীয় মনোনয়ন দেন।
তিনি আরও বলেন  বর্তমানে এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তিনি সংসদ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকেন।
তিনি সবসময় পীরগঞ্জে আসতে পারেন না। সাধারণ ভোটারেরা নানা মুখি সমস্যা নিয়ে দেখা করার চেষ্টা করলেও পারেন না।তাই সর্বস্তরের জনগণের দাবি স্থানীয় লোককে এমপি বানানো হোক। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়ি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি। দেশে ১০০ টি ইকোনমিক জন্য রয়েছে। কিন্তু পীরগঞ্জে এই অর্থনৈতিক জোন নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্য থাকলে এই জোন পীরগঞ্জে নিয়ে আসা সম্ভব হতো। অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান হতো। শতাধিক মিল কারখানা গড়ে উঠতো অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রবেশদ্বার এই পীরগঞ্জ সমৃদ্ধশালী শিল্প অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠত।
ঢাকায় বসবাসরত পীরগঞ্জের একাধিক লোকজন জানায়, আমাদের বাড়ি পীরগঞ্জে আমরা ঢাকায় রিক্সা চালাই।এখানে আমাদের পরিচিত আপনজন সিরাজ বাবাজি ছাড়া আর কেউ নেই। আমরা এখানে (ঢাকায়) যেকোনো সমস্যার মধ্যে পরলে সিরাজের কাছে যায় এবং সমাধান পায়।
তাছাড়া ও বলেন, ঢাকায় আমরা দরিদ্র মানুষ বসবাস করি এখানে পীরগঞ্জের কেউ মারা গেলে লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে অনেক টাকা দরকার পরে যা সিরাজ আমাদের দুঃসময়ের পাশে দাঁড়ায়। আমরা সিরাজের জন্য দোয়া করি আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করুক।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com