ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২২, ২০২০, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ /
ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গোপনে বিয়ে করে অর্থ আত্বসাতের অভিযোগ
জাহিদুল হক বাবু ঝিনাইদহ।।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী কবিরের স্ত্রী তহুরা (৫৫) তিন সন্তানের জননী। কবির প্রবাসে থাকাকালীন একই গ্রামের লম্পট সিরাজুল ইসলাম সিরন (৬০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তহুরার। গোপনে বিয়ে করে গড়ে তোলে দৈহিক সম্পর্ক,কৌশলে বিদেশ থেকে কবিরের পাঠানো টাকা পয়সা স্বর্ণলংকার কৌশলে হাতিয়ে নেই সিরন।
কবির দেশে ফিরেও জানতে পারে না স্ত্রী’র এসব অপকর্ম। পরে গোপন অভিসারে ধরা পড়ে,জানাজানি হয় সিরনের অপকর্মের কথা।
এ সময় শিরণ জানায় দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে গোপনে তাদের বিয়ে হয়েছে তারা বৈধ স্বামী-স্ত্রী। কিন্ত শেষ পর্যন্ত কবিরের আর অবশিষ্ট কিছু নেই, সব হারিয়ে এখন পাগল বনে গেছে, মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচারের আশায়।
সরেজমিনে এলাকায় ঘুরে জানা যায়, বৈডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে কবির বিদেশে থাকা কালীন সময়ে একই গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে লম্পট সিরাজুল ইসলাম সিরন বিভিন্ন ছল চাতুরি করে কবিরের বাড়ীতে যাতায়াত করতো এবং কবিরের স্ত্রী তহুরা খাতুনের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করতে থাকে তারা সম্পর্কে শ্বশুর-বউমা হলেও এভাবে দু জনার মাঝে পরোকিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে, চলতে থাকে প্রেমের অভিসার লুটে পুটে নেই কবিরের সব পাঠানো টাকা।
কবির দেশে ফেরে ২০১৮ সালে, তার সাথেও স্ত্রী স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখে চলে দুই স্বামীর সাথেই সামনে এবং গোপনে উঠাবসা।
গত কয়েকদিন আগে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের দিকে সিরনের সাথে তহুরার পরোকিয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে সিরন তহুরা দম্পতি জানায় ২০১৫ সালে তারা গোপনে বিয়ে করেছে।
অভিযুক্ত সিরন ক্যামেরা দেখে কথা না বলতে না চাওলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তহুরাকে আমি ভাল বাসতাম এজন্য সমাজের সবাই তাকে নির্যাতন করতো, নানা কথা বলতো তাই আমি তাকে বিবাহ করেছি।
অপর অভিযুক্ত তহুরা বেগম বলেন, যা শুনেছেন সবিই সত্যি আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিবাহ করেছি। ওর (কবিরের) কি আছে যে ওর সাথে থাকবো ও আমাকে শুধু কষ্ট দেয়। সুখ দিতে পারে না।
ভুক্তভোগি কবির বলেন ২০ বছরের সংসারী জীবনে তিনটি কন্যার মা আমার স্ত্রী তহুরা খাতুন। ১৫ বছর বিদেশ খেটে টাকা দিয়েছি ৬ বছর আগে অন্যের সাথে বিয়ে করেও আমার ঘরে আছে, আমার অর্থ সম্পদ সব লুটে নিয়ে গেছে, আমি এখন সমাজে বের হতে পারি না। আমার সবকিছু শেষ।
এলাবাসির দাবি লম্পট সিরনের এমন বিচার হোক, যা দেখে আর যেনো কেউ এমন কলংকিত ঘটনা সমাজে না ঘটাতে পারে।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com