ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, রংপুর-
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রংপুর মহানগর আওত্তাধীন কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনকে ঘিরে অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। গত ২৪শে অক্টোবর/২১ কলেজটির কমিটির বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এবং নতুন কমিটি গঠনের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের নিকট হইতে সিভি জমা নেয় রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ।
দীর্ঘসময় ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে সারাদেশের মতো কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগ সম্মেলনে নেতৃত্ব বাগিয়ে নিতে অনুপ্রবেশকারীদের জোর লবিং তদবির অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে সাধারন সম্পাদক পদে সিভি জমাদান কারী রুবেল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশকিছু তথ্য মিলেছে।
রুবেল ইসলাম একই পন্থায় বিগত কমিটিতেও অর্থের বিনিময়ে বাগিয়ে নেয় যুগ্ন সাধারন সম্পাদকের পদ। রুবেল ইসলাম পন্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ৬নং মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের পবিজ উদ্দিনের ছেলে। বাবা বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী বলে নিশ্চিত করেেন স্থানীয়রা। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সেন্টার কমিটির একজন সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালনের প্রমান পাওয়া যায়। তার চাচা পশির উদ্দিন তিনিও বিএনপির সেন্টার কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। পারিবারিকভাবে রুবেল বিএনপি পরিবারের সন্তান বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে।
ফাইল ছবি-বাবার বিএনপির সেন্টার কমিটিতে নাম ও ছাত্রদল সভাপতি রবিউল সহ খন্ডচিত্র।
টানা তিন মেয়াদে বিএনপি দেশের রাস্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় নিজেকে নিরাপদ রাখতে ও ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ সৃস্টি করতে রুবেল নিজেকে ছাত্রলীগের ভেতরে সুকৌশলে এবার সাধারন সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিতে তদবির লবিংয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।
খোদ রুবেলের বিরুদ্ধে রয়েছে আরো বেশ কিছু অভিযোগ। পীরগঞ্জের জেলে পল্লীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার নেতৃত্ব প্রদানকারী এবং মামলার প্রধান আসামী সৈকত মন্ডলের সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক এবং কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির সাথেও বিভিন্ন সময়ে তার গভীর সখ্যতার প্রমাণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে রুবেল ইসলামের মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ শাখার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, ছাত্রলীগ করতে হলে আওয়ামী লীগের ঘরেই জন্ম নিতে হবে। কারন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন। দিনে দিনে বিভিন্ন কমিটিতে হাইব্রীড আর অনুপ্রবেশকারীদের আগমনে ত্যাগীরা বন্চিত হয়েছে। আগামীতে কোন কমিটিতে এদের যেন স্থান না হয় সেজন্য ত্যাগীদের ঐক্যবন্ধ হতে হবে।
তারা আরো বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু নেতারা রাতের আধাঁরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দল ও সংগঠনে এদের নেতৃত্বের সুযোগ করে দেওয়ায় দল ও সংগঠনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিমত জানান।
সাধারন নেতাকর্মীরা মনে করেন, বৃহত্তম এ ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্ব হোক অনুপ্রবেশকারী ও মাদকমুক্ত। দক্ষ, ত্যাগীদের সমন্বয়ে আসুক আগামীর নেতৃত্ব। ফিরে আসুক প্রানচঞ্চলতা।
আপনার মতামত লিখুন :