প্রশ্ন বিড়ম্বনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৭, ২০২১, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ /
প্রশ্ন বিড়ম্বনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
মোহাম্মদ রায়হান, তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধিঃ করোনার দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই  হুট করেই পরীক্ষা। এরই মধ্যে পরীক্ষার রীতিতে ক্ষনিক পরিবর্তন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতক (সন্মান) চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হলো সম্প্রতি। শুরুতেই প্রশ্ন পত্র পেয়ে ই বিড়ম্বনায় পড়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
সনাতন নিয়মের বাইরে পরীক্ষার মানবন্টনে অপরিবর্তিত রেখে সময় কমিয়ে আনা হয়েছে নতুন নিয়মে। কিন্তু মানবন্টন একই থাকায় পরীক্ষার হলে  সময় বন্টন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে মার্কেটিং,পদার্থ, রসায়ন,বাংলা,ইসলামের ইতিহাসের মতো বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি তিতুমীর কলেজ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃআব্দুল হামিদ বর্ণনা করছেন তাদের দূর্দশার কথা-
“একেতো নিজেদের মন গড়া ভাবে কোয়েশ্চেন প্যাটার্ন করছে,ঐই প্যাটার্ন  গ বিভাগ  নরমালি লিখতেই  ২ ঘন্টা  কাভার হয়ে যাবে।আমাদের উনারা হয় সুপার হিউম্যান অর রোবট টাইপ কিছু ভাবে, নয়তো আমাদের হাতকে ইঞ্জিন  মনে করে।  দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের ৭ কলেজের স্যারদের আমরা কোনো বিপদেই পাশে পাইনাই।তাদের কে ঢাবি যা বুঝায় উনারা তাই বুঝে প্রতিবাদ  করেও কোনো সমস্যার  সমাধান হয়ন।  মুখে মুখে তাদের আশার বানি গুলোও আশাই থেকে যায়।আন্দোলন করেও কোনো কার্যকর ফল। ২ বছর সেশনজট  আর এখনকার অবস্থা  দেখে সত্যি পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ  পাইনা।ভবিষ্যৎ  অন্ধকার  দেখি।”
ইডেন মহিলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী  অনামিকা পাল বলেন-প্রশ্ন সহজ ছিল কিন্তু যেখানে আমাদের ২টা উত্তর করার কথা, তারা ২টাই রেখেছে কিন্তু সাব পয়েন্ট দিয়ে ১টার মধ্যে ৩টা দিয়েছে সব বড় প্রশ্ন। একজন মানুষ কি কম্পিউটার যে এত বড় বড় ৬/৭ টা প্রশ্ন ২ঘন্টায় লিখে শেষ করতে পারবে! প্রশ্ন দেখে পরীক্ষার প্রতি মন উঠে গেছে। ৪ ঘন্টার পরীক্ষা কিভাবে দুঘন্টায় নেওয়া হলো এই প্রশ্নে? পুরোটা পরীক্ষা আমি কাঁদতে কাঁদতে দিয়েছি। আর কিছু বলার নেই। ভালো রেজাল্ট এট আশা নেই। সত্যিই আমি ফ্রাস্ট্রেটেড।
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া ফারজানা দৈনিক মুক্তিকে জানান, “প্রথম বারের মত ২ ঘন্টা পরীক্ষা দিবো। শুরুতেই আমার মাথায় ছিলো সময় কম, অল্প সময়ের মধ্যে সব লিখে শেষ করতে হবে, এমন সব চিন্তা।  তাড়াহুড়ো করেই প্রশ্ন সিলেক্ট করতেই প্রথম ভুল টা করে বসি। যেটা ভালো পারি ঐ টা না দিয়ে অন্যটা সিলেক্ট করি। তারপর লিখা শুরু, সম্পূর্ণ উওর জানা সত্তেও কোনরকম লিখে শেষ করি, পুরো উত্তর লিখি না। এরপর যেগুলো আমি একটু কম পারি ঐগুলার উত্তর লিখা শুরু করি। তবে ভেবে ভেবে যে কিছু লিখবো তেমন কোন সুযোই ছিলো না। সবকিছু মিলিয়ে ভালো করার মত পরীক্ষায় ও পাস নিয়ে টানাটানির চিন্তায় আছি।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com