কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে রঙিন হাবিপ্রবি 


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ /
কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে রঙিন হাবিপ্রবি 
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে’ এখন সময় কৃষ্ণচূড়ার রংবাহারি রঙে মাতোয়ারা হবার । গ্রীষ্মের এই সময়ে লাল কৃষ্ণচূড়ার আবির নিয়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি সেজে উঠেছে বর্ণিল রূপে। প্রাণ ও প্রকৃতি যখন প্রখর রোদে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন জানান দেয় সৌন্দর্যের বার্তা । ক্যাম্পাসে সবার মন আকৃষ্ট করে জাগিয়েছে রক্তিম স্রোত । প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস। এ গাছটিতে আসা রঙিন ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুঁটেছে । সবুজ পাতার মাঝে লাল ফুলের আধিক্য । বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুদরত-ই-হুদা একাডেমিক ভবন, ভিআইপি গেস্ট হাউজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল মাঠের কৃষ্ণচূড়া লাল টকটকে ফুল শিখার্থীদের আকৃষ্ট করে তুলেছে । এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাবলিপুরের রাস্তার পাশেও দেখা মিলে লাল ফুলের সমারোহ ।
কৃষ্ণচূড়া ফুলের মুগ্ধতা জানিয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তপন ঢালী জানান, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে যখন কৃষ্ণচুড়ার ফুল দেখি তখন মুগ্ধ হয়ে থমকে দাঁড়াতে বাধ্য হই । এই সময়ে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে স্নিগ্ধ ছায়ায় বসে থাকি এবং ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি । বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে কৃষ্ণচূড়া যে রং ছড়িয়েছে তা চোখে না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “ঈদের ছুটি কাটিয়ে এসে কৃষ্ণচূড়ায় পরিপূর্ণ লাল টুকটুকে ক্যাম্পাস দেখে অনেক ভালো লাগছে । পড়াশোনার ব্যস্ততায় শত ক্লান্তিতেও কৃষ্ণচূড়ার রঙিন সৌন্দর্যে মুহুর্তেই মন ভাল হয়ে যায় । রক্তিম লালে প্রকৃতিকে কৃষ্ণচূড়া যেন অনেক অপরূপ দেখায় ।
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া, সাধারণত এ ফুল এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ফুটে,এর আদি নির্বাস পূর্ব আফ্রিকায়।উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। কম হলেও হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে ।  কৃষ্ণচূড়া গাছ শোভা বর্ধনকারী একটি বৃক্ষ। গাছটি পরিবেশ বান্ধব, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার একটাই প্রত্যাশা,  আপন মায়ার চাদর আকাশে ছড়িয়ে মেলে ধরুক স্বপ্নময় নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিক সৌন্দর্য । কৃষ্ণচূড়ার এই অপরূপ দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যটি অমর হয়ে থাকুক যুগের পর যুগ ।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com