ঠাকুরগাঁওয়ে পঁচা আলু ঢেলে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে আলুর ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এ বিক্ষোভ পালিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমাগার মালিক কর্তৃপক্ষের সিন্ডিকেট ও তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে হিমাগারগুলোতে আলু পচে গেছে।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকের আলু কেন পচল সে জবাব হিমাগারের মালিকদের দিতে হবে। একই সঙ্গে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, ‘আলুর ফলন মুখে হাসি ফোটালেও হিমাগার মালিকদের গাফিলাতির কারণে আমাদের আলু পচে গেছে। তারা ৩৫ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনের জন্য ধারণ ক্ষমতার বেশি আলু সংরক্ষণ করেছেন হিমাগারগুলোতে। এর দায় শুধুই হিমাগার কর্তৃপক্ষের।’
আলুচাষী ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ হেলাল বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করছে প্রশাসন ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ। আমাাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেও কোনো সুরাহা হয়নি৷ আমাদের আলু পচে যাওয়ার দায় কে নেবে।
‘আমরা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়েছি। আলু বিক্রি করে দেনা শোধ করার কথা। কিন্তু এখন আমাদের কী হবে। ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আন্দোলন চলবে।’
এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও হিমাগার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
তবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘যারা আলু রেখেছেন তাদের সঙ্গে হিমাগার কর্তৃপক্ষের চুক্তির বিষয় এটি। এখানে কোনো অধিকার লংঘনের কাজ হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে দিক বিবেচনায় রেখে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷’
বিক্ষোভে জেলার কয়েকশ কৃষক ও ব্যবসায়ী অংশ নেন। আগামীকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :