রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, ই’রি ধান, ভূট্টা, পাটসহ উঠতি ফসল ও গ্রীষ্মকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই ঝড়ে বসত বাড়ির টিনের চালের অধিকাংশ ছাউনির বড়-বড় ফুটো হয়ে গেছে।
গত বুধবার রাতে কালবৈশাখীর ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বড়দরগাহ্ ইউনিয়নের ছোট মির্জাপুর ও হাজিপুর সাহাপাড়া গ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট মির্জাপুর গ্রামের মৃত. রাজা মিয়ার বিধবা স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬৫) এর থাকার ২ টি ঘর, ভ্যানচালক সাহেব আলী (৪০)’র ১টি ঘর, দিন মজুর শাজাহান মিয়া (৫২)’র ১টি ঘর, মান্নান মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৮)’র ২টি ঘর হাজিপুর গ্রামের মেনাজ উদ্দীনের পুত্র রাঙ্গা মিয়ার (৬৫) ৩টি ঘর, মৃত. আব্দুর রহমানের ছেলে মমদেল মিয়া (৫৫)’র ২টি ঘর, দলিল লেখক জিয়াউর রহমান জিয়ার (৩৬) ৩টি ঘরসহ উল্লেখিত ২টি গ্রামের ২’শতাধিক ঘরের টিনের চালায় বড় বড় ফুটা হয়ে ঘরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। সাহাপাড়া হাজিপুর গ্রামের মৃত. খেরাজ উদ্দীনের ছেলে কৃষক সালাম মিয়ার প্রায় ৩ একর জমির উঠতি ই’রি ধান সম্পূর্ণ শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ধানের ক্ষেত দেখতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
একই গ্রামের শরিফ উদ্দীনের ছেলে কৃষক বেলাল মিয়া’র ১ একর জমির পাটগাছ ভেঙ্গে গেছে সেই সাথে তার দেড় একর জমির ইরিধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অপর দিকে উক্ত গ্রামের মৃত. নয়া মিয়ার ছেলে কৃষক মজিবর রহমানেরও প্রায় ২ একর ইরি ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বড় দরগাহ্ ইউপি চেযারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক সাংবাদিকদের জানানঃ-
আমার ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টিতে প্রায় সব বাড়ির কমবেশি ঘরের টিনের চালা ছিদ্র হয়ে গেছে। ফসলের মাঠগুলো বিরান ভুমিতে পরিনত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক (ভারঃ) কৃষিবীদ রিয়াজ উদ্দীন শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকারসহ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ওই ২ গ্রামের প্রায় ৫৫/৬০ হেক্টর জমির ইরিধানসহ অন্যান্য উঠতি ফসল শিলাবৃষ্টিতে মাটির সাথে মিশে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :