রামপালে ভোট পূনরায় গণনার দাবিতে পরাজিত প্রার্থীর  সংবাদ সম্মেলন 


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : মে ১০, ২০২৪, ৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ /
রামপালে ভোট পূনরায় গণনার দাবিতে পরাজিত প্রার্থীর  সংবাদ সম্মেলন 
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ প্রথম ধাপে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রাথমিক ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পূনরায় ভোট গণনার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন (কাপপিরিচ) প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী এস. এম. জামিল হাসান (জামু)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের ভাগা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসান লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানান, গত ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রামপাল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে (কাপপিরিচ) প্রতীক নিয়ে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। এ নির্বাচনে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের সম্মানিত ভোটারগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করেন। এদিন মোট ৪৯ টি ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক ফলাফল রাতে ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার।
তিনি আরও জানান,  ভোট গণনা শেষে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের ছোট সন্ন্যাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্ন্যাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মল্লিকেরবেড় আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গফুর মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পেড়িখালী ইউনিয়নের বড়কাঠালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের জিয়লমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারবৃন্দ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ভোটের ফলাফল নিয়ে রামপাল উপজেলা অডিটোরিয়ামের কন্ট্রোল রুমে পৌঁছান। বিকাল ৪.০০ টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে কন্ট্রোল রুমে ফলাফল নিয়ে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। নির্বাচন অফিসের দেওয়া হিসাব মতে এ নির্বাচনে উপজেলার ৩৬.৭৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা গণনা ও ফলাফল বের করতে এত বেশি সময় লাগার কথা নয়।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন অফিস কর্তৃক প্রদত্ত হিসাব মতে চেয়ারম্যান পদে জনগণ মোট ভোট দিয়েছে ৫০৮৩৭ (পঞ্চাশ হাজার আটশত সাইত্রিশ), ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ৫০৭৪৩ (পঞ্চাশ হাজার সাতশত তেতাল্লিশ) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫০৬৮৬(পঞ্চাশ হাজার ছয়শত ছিয়াশি)।  তিন পদে প্রার্থীদের জনগণের দেয়া ভোটের সংখ্যা একই হওয়ার কথা থাকলেও এখানে সব পদে ভোট সংখ্যায় গড়মিল দেখা যায়। এতেই পরিলক্ষিত হয় ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়নি।
তিনি আরও জানান,  উল্লেখিত কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারগণ আমার নিয়োগকৃত এজেন্টের কাছে রেজাল্ট শীট দিতে অস্বীকার করেন। নির্বাচনের পরে আমার এজেন্ট ও কর্মী সমর্থকদের মারপিট করা হয়েছে।  খুলনার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার মদদে নির্বাচনী পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি বিশ্বাস করি আমাকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করে (আনারস) প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
আমি এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৮ মে রাতে রামপাল উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক প্রদত্ত প্রাথমিক ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পূনরায় মল্লিকেরবেড় ইউনিয়ন, ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন, পেড়িখালী ইউনিয়ন ও হুড়কা ইউনিয়নের সকল ভোটকেন্দ্রগুলোর ভোট পূনরায় গণনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com