ভালো কাজে মানুষের পাশে পুলিশ অফিসার এসআই মোশারফ 


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৪, ২০২০, ৪:৩০ অপরাহ্ণ /
ভালো কাজে মানুষের পাশে পুলিশ অফিসার এসআই মোশারফ 
দুপুর বেলার ক্লান্ত রোদে,কিংবা নিঝুম রাতে, জনসেবাই প্রহর কাঁটে, সদাই তিনি জাগ্রত রণ নিয়োজিত মানবসেবাই।নিজের জীবন এমন করে বাঁজি রাখেনইবা কজন।
বুঁকে সাহস, পেশীতে বল, নেই কোন সংশয় সর্বদা নিজেকে সপেছেন নিষ্পেসিত,নির্যাতিত,দারিদ্র ও অসহায় মানুষের দ্বারে। এমন পর-উপকার করেই তিনি পান আত্মতৃপ্তি, মেটান আত্মার সুধা।তার কাছে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার মূল মন্ত্রই নাকি সাহায্য সহযোগীতা ও আস্থা।মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার মূল মন্ত্রই যার জানা তাকে আর কে ঠেকাই! জানা যায়,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেই তিনি পেয়েছেন এই মন্ত্র।
এসআই মোশারফ প্রতিনিয়ত ডিউটির মাঝে ও অবসর সময়ে দরিদ্র অসহায়ও পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন।অনেক পথ শিশুকে ফিরিয়েও দিচ্ছেন প্রকৃত মা বাবার কাছে,দিচ্ছেন অর্থ ও খাবার।গত সোমবার বেলা তখন ২ঃ১৫ মিনিট একে তো টাক ফাটা রোদ তার মধ্যেই জীবিকার তাগিদে রিক্সা নিয়ে রাজ পথে ঘাম ঝরিয়ে চলেছেন একেকজন রিক্সা চালক। তখনই বৃদ্ধ কিছু রিক্সা চালকের সাথে কথা বলেন এসআই মোশারফ,খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেন দিনের রোজগার ও ক্ষুধা নিবারণের কথা, এসব জানার পরই এসআই মোশারফ ২০জন বৃদ্ধ রিক্সা চালকের হাতে তুলে দেন খাবারের প্যাকেট,পানি ও সামান্য কিছু অর্থ। অন্যদিকে ডিউটি চলাকালীন সকাল ও দুপুরে খাবার প্রতিনিয়ত তিনি ৪/৫ জন পথ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খাওয়াতে তাকে দেখায় যায় বলে জানান বংশাল থানা এলাকার জনসাধারন।
এমনো দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করে ফেলেছেন যে,রাস্তায় তাকে ডিউটিরত অবস্থায় বা অবসর সময়ে দেখলে পথশিশুরা তাকে ঘীরে ধরে ও ঘানিকটা সময় কাটায়। এ বিষয়ে পথ শিশুদের জিঙ্গেস করলে তারা বলেন,উক্ত পুলিশ অফিসার আমাদের ভালবাসেন টাকা দেয় খাবার কিনে দেয় এই জন্য তাকে আমাদের খুব ভালো লাগে।
এসআই মোশারফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা থানা এলাকার কৃতি সন্তান,এই মানব সেবার সপ্ন নিয়ে ২০০৬ সালে কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন এসআই মোশারফ, এরপর ২০১২ সালে এএসআই পরীক্ষা দিয়ে পদোন্নতি লাভ করেন,এসআই হওয়ার গল্পটাও খুব দূরে নয় তবে পরিশ্রম ও ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০১৮ সালে এসআই (নিরস্ত্র) পদে পরীক্ষা দিয়ে পদোন্নতি লাভ করেন বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশনের আইকন মানবিক পুলিশ অফিসার এসআই মোশারফ। তিনি বর্তমানে ডিএমপির বংশাল থানায় কর্মরত রয়েছেন।
অন্যদিকে এসআই মোশারফ বলছেন, জীবনের শেষ পর্যন্ত পুলিশের পোশাক গায়ে দেশের মাটি ও মানুষকে আকড়ে জনস্বার্থে বেঁচে থাকতে চাই। এসআই মোশারফ প্রতিবেদককে জানান,পুলিশে চাকরী করি বলেই জনসেবাই নিয়োজিত সেটা ভাবলে ভুল হবে।আমি চাই আমাকে পুলিশ ভেবে ভয়ে সম্মান না করে ভালবাসায় সম্মান করুক।আমি আমার বিবেক,মানবিকতা ও আত্মসিদ্ধির জন্যই যোগ্যতা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।উপকারিতার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাড়িয়ে বোঝাতে চাই,আমি পুলিশ আমিও মানুষ,আমারো রক্ত,মাংস ও মন মানসিকতা আছে আমিও ভালবাসতে জানি,আমিও কষ্টে কাঁদি আমারও বিবেক আছে।আপনারাও সাধ্য মতে অন্যের নিবেদনে নিজেকে রাখার চেষ্টা করুন,দেখবেন অন্যের মুখে হাসি ফোটাতো পারার আনন্দ আপনি আর কোথাও পাবেন না। সকলেই ছোট ছোট করে উদ্যোগ নিন আরো একধাপ এগিয়ে যাবো আমরা,আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এবং এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ পুলিশ।
তিনি আরও বলেন,চারি দিকে নির্যাতিত নিষ্পেসিত মজলুম জনতা,আমি এসআই মোশারফ কথা দিচ্ছি আমি থাকবো আপনার নিবেদনে।বিনিময়ে মোশারফ চান জনসাধারণের দোয়া ও ভালবাসা। এসআই মোশারফ জনসাধারণ ও তার শুভাকাংক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানবিকতা ও বিবেক জাগ্রত করে নিজেকে সর্বদা রাখুন অন্যের নিবেদনে দেখবেন উপরওয়ালা থাকবে আপনার নিবেদনে।
অন্যদিকে এসআই মোশারফের বর্তমান কর্মস্থল বংশাল থানা এলাকায় খবর নিলে প্রায় জনসাধারণ বলছেন,যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থানা এলাকায় এসআই মোশারফ যখন টহল ডিউটি করেন, ডিউটির মাঝে উনি ক্ষুদার্থদের খুঁজে তুলে দেন খাবার ও নগদ অর্থ। কখনো থানা এলাকায় পুলিশের রুপে কোন মহড়্যা করতে তাকে দেখা যায় না।তিনি পুলিশনা তিনি একজন বর্তমানে পুলিশের মধ্যে প্রকৃত মানবসেবক এমন সব গুনের কথায় শুনা যাচ্ছে বংশাল থানা এলাকায়।
সাফিয়ান স্বাধীন /রাজশাহী
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com