মাদ্রাসা সুপার নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ  কেরানী থেকে সুপার’


dailymukti24 প্রকাশের সময় : মে ১৯, ২০২৫, ৩:০৯ অপরাহ্ন /
মাদ্রাসা সুপার নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ  কেরানী থেকে সুপার’
চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধি।।
মাদ্রাসার কেরানী পদে চাকরীকাল শুরু করে সময়ের ব্যবধানে তিনি একই মাদ্রাসার সুপার পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এখন তাঁর সুপার পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়োগ নীতিমাল উপেক্ষা করে এবং অভিজ্ঞতা ও চাকুরী সংক্রান্ত
তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে এমন নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে।ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার হামিদপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. কামাল উদ্দিনের প্রথমে সহ সুপার
এবং পরবর্তীতে সুপার পদে নিয়োগকে ঘিরে এমন প্রশ্ন উঠেছে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মো. কামাল উদ্দিন ১৯৯৭ সনের ১৩ জুলাই হামিদপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রসার কেরানী পদে যোগদান করেন।তখন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল আলিম পাস। কিন্ত তিনি এই মাদ্রাসার সহ সুপার পদে যোগদান করেন ২০০৫ সনের ৮ ফেব্রুয়ারী এবং একই মাদ্রসায় সুুুপার পদে যোগদান করেন ২০২১ সনের ৩১ ডিসেম্বর। আলিম পাশের সনদ নিয়ে কেরানী পদে যোগদানের পর কর্মরত থাকা অবস্থায় ধাপে
ধাপে প্রথমে সহ সুপার এবং পরে সুপার পদে নিয়োগ পেতে তাকে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সর্বোচ্চ কামিল পাশের সনদ অর্জন করতে হয়েছে। কিন্ত চাকরীতে নিয়মিত থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ফাযিল ও কামিল পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে এই সনদ অর্জনের পাশাপাশি সুপার পদে নিয়োগপ্রাপ্তির প্রেক্ষিতে সনদ ও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানাযায়,মো. কামাল উদ্দিন ১৯৯৪ সনে চরফ্যাসনের কুচিয়ামোড়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দাখিল, একই মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৬ আলিম ও ১৯৯৮ সনে ফাযিল এবং চরফ্যাসন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০০০ সনে
কামিল পাশ করেন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসব পরীক্ষায় নিয়মিত অংশগ্রহন করে তিনি উত্তীর্ণ হন এবং সেসব সনদপত্র দাখিল করেই সহ সুপার এবং সুপার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ফলে চাকুরীকালে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন, সনদ অর্জন এবং সহ সুপার ও পরবর্তীতে সুপার পদে নিয়োগ বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
উঠেছে।
অভিযোগকারী সূত্র জানায়, ২০২০ নভেম্বর ২৩ সংশোধিত নীতিমাল অনুযায়ী- কোন মাদ্রাসার সহ সুপার পদে নিয়োগ লাভের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সহকারী মৌলভী পদে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে এবং একই ভাবে সুপার পদে নিয়োগ লাভের জন্য সহ সুপার পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতার
বাধ্যবাদকতা আছে।মো. কামাল উদ্দিন চাকুরীকাল শুরু করেছেন কেরানী পদে। ফলে সহ সুপার পদে তার নিয়োগই বৈধ ছিল না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. কামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেন এবং ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কোন কথা না বলেই ফোনকল কেটে দেন।এই সনদ এবং চাকরীর বৈধতা প্রশ্নে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের বলেছেন. একই ব্যক্তি একই দিনে দুই স্থানে উপস্থিতি দেখাতে পারেন না। কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের কর্ম ও পরীক্ষা হলের পরীক্ষায় অংশ নেয়া অবৈধ। সেক্ষেত্রে প্রমাণিত হলে- সনদ অথবা চাকরী- যে কোন একটি বাদ দিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।